বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বরগুনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ২৫ জুলাই সকাল থেকে অবিরাম ভারী বৃষ্টিতে বরগুনায় মৎস্য ও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থিত কাঁচা বসতঘর, আবাসন জোয়ারের পানির চাপ আর বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থিত পরিবার রয়েছে খাদ্য সংকটে। বসতঘর-রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় রান্না বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ পরিবারে। ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওযায় সাগরে গিয়ে উত্তাল সাগর আর ঝড়ের কবলে পড়ে শত শত মাছ ধরার ট্রলার সুন্দরবন সংলগ্ন, কচিখালী, কটকায় আশ্রয় নিয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আঃ রশিদ জানান, বৃষ্টিতে কৃষির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমন বীজ তলা, সবজি এবং পানের বরজের ক্ষতি বেশি হয়েছে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে আরও ২/৩ সময় লাগবে বলে তিনি বলেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ভারী বর্ষণে ১৫৩টি মাছের ঘের এবং ৫৮১টি পুকুর প্লাবিত হয়ে আনুমানিক সাড়ে ৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাথরঘাটা ও আমতলী উপজেলায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত জেলায় ৪৭৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন