ঢাকা, শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কলাপাড়ায় ড্রাগন ফল চাষে কৃষকের সফলতা
উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া
নিজের ড্রাগন ফল বাগানের পরিচর্যা করছেন কৃষক মস্তফা জামান

ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সৌখিন চাষি মো. মস্তফা জামান। পুষ্টি গুণের কারণে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এ ফল। তাই শখের বসে উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনীপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে ২০১২ সালে চার একর জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন।

কোনো প্রকার রাসায়নিক ওষুধ ছাড়াই ৮ মাসের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। এরপর ২০১৮ সালে তিনি বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষে সক্ষম হয়। বর্তমানে একটি সমন্বিত বাগান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন তিনি এই বাগান থেকে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক ড্রাগনের বাগান গড়ে তুলেন। এর পাশাপাশি কলা, লিচু, পেয়ারা, মাল্টা, পেঁপে, এলাচসহ অন্যান্য ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছে। এছাড়া রয়েছে মাছের ঘের, গরু, দেশি মুরগীর খামার। তারই অনুপ্রেরণায় ওই ইউনিয়নসহ উপজেলায় একাধিক খামার গড়ে উঠেছে। অনেক বেকার যুবকদের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান।

সৌখিন ড্রাগন চাষি মো. মস্তফা জামান বলেন, তার খামারে ভিয়েতনামের ড্রাগন (বারি-১) এবং স্থানীয় দেশি প্রজাতির ড্রাগনসহ লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি এই চার রংয়ের ড্রাগন উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে লাল রংয়ের ড্রাগনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। এছাড়া কৃষি খামারে সাগর, অগ্নিসাগর, মোঁচাবিহীন ভিতরে লাল রংয়ের একাধিক প্রজাতির কলা রয়েছে। তার খামার উন্নয়নের জন্য সহায়তা করেছেন পটুয়াখালী হর্টিকালচার, উপজেলা কৃষি অফিস এবং ব্লু-গোল্ড। কিছু দিন পূর্বে উপজেলা কৃষি অফিস তার কাছ থেকে কাটিং ক্রয় করে আগ্রহী চাষিদের মাঝে বিতরণ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির বলেন, তার এ বাগান দেখে এলাকার বেকার যুবকেরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আমিও মস্তফার ড্রাগন বাগান ঘুরে দেখেছি।

ব্লু-গোল্ডের সিডিএফ প্রোগ্রামের কর্মকর্তা মো. মাজিদুল ইসলাম জানান, কৃষকের আর্থ-সামাজিক এবং কৃষি উন্নয়নে মৎস্য, কৃষি এবং প্রাণীসম্পদ অফিসের সাথে সমন্বয় সাধন করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য, বীজ বিপণনের ব্যবস্থা করে ব্লু-গোল্ড। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, ড্রাগন একটি জনপ্রিয় ফল। এ উপজেলা এসএসবি প্রকল্পের আওতায় সাতটি ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মস্তফা জামানের বাগানটি উল্লেখযোগ্য। ড্রাগন বাগান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর