ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাগাতিপাড়ায় ফার্মেসিতে মিলছে না প্যারাসিটামল
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় দিন দিন করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা হাসপাতালে বেড়েই চলেছে রোগীর চাপ, সেই সাথে বাড়ছে প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা।

করোনায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি সাধারণ রোগীর চাহিদা অনুযায়ী নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, এইচ প্লাস, নাপা সিরাপসহ প্যারাসিটামল জাতীয় কয়েকটি ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে উপজেলার ফার্মেসিগুলোতে। চারিদিকে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও যখন বাড়ছে তখন প্যারাসিটামল জাতীয় এই ওষুধগুলোর সরবরাহ না থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের।

গত বুধবার দুপুরে জ্বরের ওষধ এইচ প্লাসের জন্য এক ফার্মেসি থেকে অন্য ফার্মেসি ঘুরছিলেন বিহারকোল বাজার এলাকার রাজু আহমেদ। বেশ কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরে জ্বরের জন্য এইচ প্লাস খুঁজে পাননি তিনি।

কয়েকটি এলাকায় চাহিদা পত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও ওষুধ না পাওয়া নাজমা বেগম বলেন, সাত বছরের ছেলের জ্বরের জন্য ওষুধ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু বড় বড় কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরেও পর্যাপ্ত ওষুধ মিলেনি।

পৌর বাজারে একটি ফার্মেসিতে জ্বরের ওষুধ খুঁজতে ছিলেন ইনামুল মাস্টার নামের একজন। তিনি জানান, বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে এক পাতা নাপা ওষুধ সংগ্রহ করেছি। তবুও বেশি দামে।

মালঞ্চি বাজারের সিয়াম ফার্মেসির মালিক রাজু বলেন, ‘জ্বরের ওষুধ এইস, এইস প্লাস, এইচ এক্স আর ট্যাবলেট, ফাস্ট, ফাস্ট এক্স আর ওষুধেরও সংকট আছে। কোম্পানি যে পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ করে তা চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই কোম্পানিগুলোতে ওষুধের জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। তবে সরবরাহ না থাকায় আমাদেরও কিছু করার থাকছে না।

তমালতলা বাজারের আরিফ ফার্মেসির মালিক চাঁন মিয়া বলেন, হঠাৎ করে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে জ্বরের ওষুধের চাহিদা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। আপাতত নাপা ও এইস গ্রুপের অন্য ওষুধ দিয়ে ক্রেতাদের বিদায় করা হচ্ছে। আরও বেশি সময় নাপা ও এইস ট্যাবলেট ও সিরাপের সরবরাহ না থাকলে ভোগান্তি বাড়বে।

উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত আনজুম অনন্যা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফার্মেসিগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কোনো ফার্মেসিতে এই ওষুধগুলোর কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে এবং বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, বাজারে প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধের সংকট থাকার কথা নয়। তবুও কোনো ফার্মেসিতে এই ওষুধগুলোর কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর