ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের এক শিক্ষকের ঘরে দেখা মিলল সাড়ে ৩ ফুট দৈর্ঘ্যের চন্দ্রবোড়া সাপ। গতকাল বুধবার রাতে সাপটি দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন সাপটিকে প্রথমে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সাপটিকে মেরে মাটিতে পুতে রাখে।
ওই শিক্ষকের বড় ছেলে ইমদাদ মাহমুদ ইমন জানান, বুধবার তার বাবা চিকিৎসার জন্য ঢাকা যান। রাত আটটার দিকে তার বাবার থাকার ঘরের বারান্দা থেকে অদ্ভুত শো শো শব্দ শুনতে পান। প্রথমে তারা ধারণা করেন গ্যাস সিলিন্ডার ছিদ্র হয়ে এ শব্দ হচ্ছে। পরে বারান্দায় গিয়ে দেখতে পান বিষাক্ত চন্দ্রবোড়া সাপ। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে সাপটি বারান্দা থেকে কক্ষের ভেতরে ঢুকে যায়। পরে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে আজ স্থানীয়রা এসে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সাপটিকে মেরে মাটিতে পুতে রাখেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে চরভদ্রাসনের চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চর গোপালপুর গ্রামে প্রথম এ চন্দ্রবোড়া সাপের দেখা মিলে। ২০১৭ হতে ২০১৯ পর্যন্ত এ সাপের বিস্তৃতি ছিল ভয়াবহ। এ সময়ে উপজেলায় ১০ জনের অধিক ব্যক্তি এ সাপের কামড়ে মারা যান। বর্তমানে এর প্রকোপ কমলেও সাপটির বিস্তৃতি ঘটেছে লোকালয়ে।
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, চন্দ্রবোড়া সাপের উপদ্রুপ আগের থেকে অনেক কমেছে। সাধারণত আগস্ট মাসে এ সাপের উপদ্রুপ বেশী দেখা যায়। তবে সাপে কামড়ের পর্যাপ্ত এন্টিভেনাম আমাদের সংরক্ষণে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর