ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটিতে সুমিষ্ট ও সুস্বাদু ড্রাগন ফল
বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত দেশের উত্তরের জেলা নওগাঁ। ধান চাষের পাশাপাশি সুমিষ্ট রসালো ফল ড্রাগনের চাষ হচ্ছে এখানে। এলাকার জমিগুলো এঁটেল-দোআঁশ বলে ফলগুলো খুবই সুমিষ্ট ও সুস্বাদু। নওগাঁর পোরশায় ব্যাক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই ড্রাগনের বাগান। এতে এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে নওগাঁর ড্রাগন। 

জানা গেছে, নওগাঁর পোরশা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে ২৫ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে ড্রাগন ফলের বাগান। সারি সারি করে রোপন করা হয়েছে সুস্বাদু ও সুমিষ্ট ড্রাগনের গাছ। সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে সবুজ আর গোলাপি রঙের ফল। এ যেন এক অপরূপ দৃশ্য। এ অঞ্চলে পানি স্বল্পতার কারনে ভাল ফসল না হওয়ায় ২০১৯ সালে আট হাজার ড্রাগনের চারা সংগ্রহ করে রোপন করে শাহজামাল নামে এক যুবক। মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে প্রথম বছরে বিক্রি করেন ৬ লাখ টাকার ফল। পরবর্তীতে ২০২০ সালে আরও ৪০ হাজার চারা রোপন করেন। 

চলতি বছর ২০১৯ সালে রোপনকৃত ড্রাগন ফল থেকে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা ফল বিক্রি করেছেন। আরও ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রির আশা তার। যারা বেকার আছেন তাদের বসে না থেকে ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করে বাগান তৈরির পরামর্শ দেন তিনি। সেই সাথে সার্বিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দেনও তিনি।

বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, ড্রাগন চাষে সার আর কিটনাশকের খরচ কম। রোগবালাইও কম। রোপনের ৬ মাসের মাথায় ফল বিক্রি শুরু হয়। ড্রাগন বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় দামও বেশি। শুধু তাই নয়; এমন সাফল্য দেখে অনেক বেকার যুবক শুরু করেছেন ড্রাগনের চাষ। আর এই বাগান দেখার জন্য প্রতিনিয়ত লোকজন আসছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির অভাবে মৌসুমী ফসল ভালো না হওয়ায় ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠছেন এ এলাকার মানুষ। জমিগুলো এঁটেল-দোআঁশ বলে ফলগুলো খুবই সুমিষ্ট ও সুস্বাদু। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ফল জেলায় প্রথম চাষ হওয়ায় চাহিদা বেশি; দামও ভালো। তাই কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও আরও বেশি ড্রাগন উৎপাদনের জন্য নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। 

এদিকে, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অন্যান্য ফল চাষের পাশাপাশি ড্রাগন চাষেও নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন এবং গ্রামীন অর্থনীতিতে অবদান রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর