মানিকগঞ্জে পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত গৃহিণীরা। আর এভাবেই ঘরের কাজ শেষ করে একটু বাড়তি আয় করছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচ বারইল গ্রামের শতশত নারী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নবগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচ বারইল গ্রামের শতশত নারী মনের আনন্দে পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন। দেখে মনে হয় তারা আঁশ ছাড়ানোর প্রতিযোগীতায় নেমেছেন।
রাজিয়া সুলতানা ও বেগম আক্তার বলেন, আমরা সংসারের কাজ শেষ করেই এই কাজ করছি। পাট থেকে আঁশ ছাড়িয়ে আমরা পাটের খড়ি নিচ্ছি। যা আমাদের লাকড়ি হিসেবে রান্নাবান্নার কাজ ছাড়াও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। এতে আমাদেরও লাভ হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, প্রতিযোগিতা না, তবে কাজ করেই বেশি খড়ি নিতে চায় সবাই। তাই আমরা মনোযোগ দিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
পাট চাষী আব্দুল আলিম বলেন, এবার তিনি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। প্রতিদিন এখানে বিশ থেকে বাইশ জন নারী পাটের আঁশ ছাড়িয়ে পাট খড়ি নিচ্ছেন। তাদেরকে আলাদা মজুরী দিতে হয় না। এলাকায় শতশত নারী এভাবে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, এ কাজে নারীরা এগিয়ে আসায় আমাদের লাভ হচ্ছে। কারন শ্রমিকের দাম অনেক বেশি। তাছাড়া বড় পাট কামলা দিয়েই নিতে হয়। কারন বড় খড়ির বাজার মূল্যও অনেক। এলাকার নারীরা ছোট পাটের আঁশ ছাড়িয়ে পাটখড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত