ঝিনাইদহের মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে বিদেশি ফল ড্রাগনের আবাদ। ইতোমধ্যেই তা বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন চাষিরা। আর লাভজনক এ ফসলটির আবাদ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, ড্রাগন নামে খ্যাত পরিচিত হয়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহ। তারই একটি উদাহরণ কাগমারী গ্রামের গাছে গাছে ঝুলছে বিদেশি ড্রাগন ফল, আবার কোন গাছে এসেছে ফুল। চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় দিনদিন বেড়েই চলেছে ড্রাগনের চাষ। পুষ্টিমান সম্পন্ন এক বিঘা ড্রাগন চাষ করতে খরচ হয় এক লক্ষ টাকা। বছর শেষে ড্রাগন ফল বিক্রি করে ৫ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।
ঝিনাইদহ সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও কালীগঞ্জসহ ৬টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ব্যাপকভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগনের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেক তরুণ উদ্যোক্তাসহ চাষিরা। জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার চাষি হারুন-আর রশিদ মুসা জানান, প্রথমে ৬ বিঘা জমিতে চাষ করে লাভবান হন। এবছর তিনি বিশ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করেছেন। এছাড়াও কালীগঞ্জ উপজেলার সুরোত আলীসহ জেলার অনেকেই ড্রাগন ফলের চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এবছর ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৫০ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ হয়েছে। প্রতি কেজি ড্রাগন ফল পাইকারি দরে বাগান থেকেই বিক্রি হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে। আর বাজারের ব্যবসায়ীরা খুচরা দরে বিক্রি করেন ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা দরে। ড্রাগন চাষ করে অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর