ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে সেই ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেফতার
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় স্বর্ণের দোকান থেকে ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি সোনাসহ ৮ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ডাকাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোটও উদ্ধার করা হয়।

সোমবার বেলা ১২টার সময় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন। 

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সাব্বির হোসেন ওরফে হাত কাটা স্বপন (৪৯), আরিফ হাওলাদার (২৫), মোহাম্মদ আলী (৪০), বিল্লাল মোল্লা (৩০), আনোয়োার হোসেন (৩২), ফারুক খাঁ (২১), আফজাল হোসেন (৪৭), মো.আক্তার হোসেন (৩২)। এদের মধ্যে সাব্বির, বিল্লাল, আফজাল ও আক্তারের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। আরিফ ও ফারুখ খায়ের বাড়ি মাদারিপুর এবং মোহাম্মদ আলী ও আনোয়ার হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।

গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ১৮ থেকে ২০ জন ডাকাত সদস্য সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি চালায়। সে সেসময় বাজারের পাহারাদারদের হাত বেঁধে ফেলে। পরে কয়েকটি দোকানে ডাকাতরা লুটপাট চালায়। সে সময় দু'টি স্বর্ণের দোকান থেকে ১০৮ ভরি সোনা ও ৩০ লাখ টাকা লুটে নেয়া হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পরদিন থেকে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যা থেকে  সোমবার ভোর রাত পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া, মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান, কামরাঙ্গীচর ও কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার, তাতিবাজার ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় অভিযান চালানো হয়। 

অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিড বোট, ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ম্যাগজিন পিস্তল, গুলি ও চাপাতিসহ ডাকাত চক্রের ৭ জন এবং ডাকাতির স্বর্ণালংকার ক্রয়ের অপরাধে আক্তার হোসেনসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতার ও স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান চলছে। ডাকাতদের আদালতে উঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই ডাকাত চক্রটি বংশ পরম্পনায় ডাকাতি করে আসছে। ইতিমধ্যে একটি বড় লঞ্চের ডাকাতির কথাও তারা স্বীকার করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ডাকাতির সাথে তারা জড়িত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। 

নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী রিপন বনিক বলেন, চার দিন আগে আমাদের দোকান থেকে ১০০ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি হয়েছে। সবগুলোই ক্রেতাদের ছিল। সেখান থেকে ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়েছে। আমি মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ক্রেতারা তাদের স্বর্ণের জন্য আমাদের উপরে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধার হলে আমরা তাদের থেকে বাঁচতে পারতাম।

পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম বলেন, ডাকাত চক্রটি মুন্সীগঞ্জসহ আশে পাশের জেলার লোক। আমরা খুব শীঘ্রই ঐ চক্রটিকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর