ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
চাঁদুপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর শহরের উকিলপাড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত নারী চিকিৎসকের অবহেলায় রাহিমা বেগম (২২) নামে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। 

তবে রাহিমা বেগম মারা গেলেও সিজারে জন্ম নেয়া কন্যা শিশু বেঁচে আছে। ঘটনার পর পরই নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। মৃত রাহিমা বেগম সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের আখনের হাট এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী মনির হোসেনের স্ত্রী।

প্রসূতির স্বামী মনির হোসেন জানান, আমার স্ত্রী রাহিমা প্রায় ২ বছর ধরে ডা. শামসুন্নাহার তানিয়ার তত্ত্বাবধানে ছিল। রাহিমার সিজার করেন গাইনী ডা. শামসুন্নাহার তানিয়া ও এনেসথ্যাসিয়া করেন ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী গত বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে স্ত্রীকে ভর্তি করি। শুক্রবার বিকেলে সিজারের জন্য ওটিতে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় ওটি থেকে কন্যা সন্তান হয়েছে বলে জানানো হয়। 

তিনি আরও বলেন, প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় অতিবাহিত হলেও আমার স্ত্রী কেমন আছে তারা জানায়নি। পরে আমি জোর করে ওটিতে প্রবেশ করি। তখন আমাকে বলা হয় আমার স্ত্রী মারা গেছে। সিজারের পর ডা. তানিয়া পালিয়ে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের জানায়নি।

প্রসূতির শ্বাশুড়ি জানায়, ডা. তানিয়া আমার ছেলের বৌ রাহিমাকে মেরে ফেলছে। তিনি একজন খুনি। আমরা এই খুনির বিচার চাই।

প্রসূতির বাবা জয়নাল গাজী জানায়, চার বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মনিরের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও  ডা. তানিয়ার অবহেলায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। এখানে এসে জানতে পারলাম ডা. তানিয়ার অপারেশনে বহু প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

নতুনবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ঘটনার অনেক পরে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করেছি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ডা. শামসুন্নাহার তানিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত



এই পাতার আরো খবর