কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা মৌলভীবাজারে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে মৎস্য ঘের দখল করতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়াতে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে অস্ত্র হাতে গুলি বর্ষণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অস্ত্রধারী ব্যক্তি নয়াবাজার কাঁচারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে শামশুল আলম বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজারস্থ মুসলিম পাড়ার পূর্ব পাশে লম্বাগোদায় নিজস্ব মৎস্য ঘেরে কাজ করার সময় স্থানীয় দুদু মিয়া (৪৫) এসে কর্মরত লোকজনকে মৎস্য ঘের থেকে চলে যেতে বলেন। এ সময় মৎস্য ঘেরে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে দুদু মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ভোলা মিয়া (৪০), সোনা মিয়া (৫০), তার ছেলে রাশেদ মিয়া (২২), মো. বাহাদুর (২৫) ও নয়াবাজার কাঁচার পাড়া হতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী শামসুল আলমসহ (৩০) ১৫ থেকে ২০ জনের সশস্ত্র গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র, কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়।
এতে আব্দুল আজিজ (৫০), মোহাম্মদ আলী (৪৫), জয়নাল (৩০), আনোয়ার হোছন (২৪) ও ছালামত উল্লাহ (৪০) গুরুতর আহত হন। বাঁধা দিতে গিয়ে হামলাকারী পক্ষের দুদু মিয়া আহত হয়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে গুলিবিদ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী গংয়ের পক্ষ থেকে টেকনাফ মডেল থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন জানান, স্থানীয় মোহাম্মদ আলী মৎস্য ঘেরে মাছ ধরতে গেলে দুদু মিয়া গং বাঁধা প্রদান করে। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনায় এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর