ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আপত্তিকর অবস্থায় এএসআই আটকের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১৩
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনকে আটক ও মারধরের মামলায় গ্রেফতার ১৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর (ছড়ারপাতা) গ্রামে গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে মামলার এক নারী বাদির বাসায় আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসীর হাতে আটক হন উপ-পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। এ ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার করে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে সংযুক্তও করা হয়।

এদিকে সেই এএসআইকে লাঞ্ছিত ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে অর্ধশতাধিক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সে মামলায় রবিবার পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল্লাহিল জামান জানান, এ ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনের বিরুদ্ধে গত শনিবার থানায় মামলা হয়েছে। কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জন গ্রেফতার করেছে।

তারা হলেন- উপজেলার উত্তর ধর্মপুর গ্রামের জহুরুল হক, রবিউল ইসলাম, সুমন মিয়া, হামিদুল ইসলাম, আঃ খালেক, আমজাদ হোসেন, মুকুল মিয়া, বকুল মিয়া, রাজু মিয়া, জয়নাল আবেদীন, শাহজাহান সিদ্দিক, পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের আজিজুর রহমান ও গাইবান্ধা সদরের ফারাজি পাড়ার নাজমুল হক। তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

পুলিশের মামলায় বলা হয়েছে, ছড়ারপাতা গ্রামের এক মামলার বাদীর গাছ জোর করে কেটে নেয়ার অভিযোগ পেয়ে ২৯ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে এএসআই তোফাজ্জল হোসেন সাদা পোশাকে তার বাড়িতে যান। পরে বাদীর (এক প্রবাসীর স্ত্রী) অভিযোগ শুনে আসার সময় ওই নারীর ভাশুর মাসুদ মিয়া এএসআই তোফাজ্জলকে গালমন্দ করেন। এরপর চিৎকার করে গ্রামবাসীকে জড়ো করে তোফাজ্জলকে আটক করে উঠানের আমগাছে বেঁধে রাখে। পরে মাসুদসহ কয়েকজন তোফাজ্জলকে বেধড়ক মারপিট করেন। এছাড়া তার পকেটে থাকা নগদ টাকা ও হাতঘড়ি লুট করে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ছড়ারপাতা গ্রামে এক সৌদি প্রবাসীর বাড়ির গোয়ালঘরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী এএসআই তোফাজ্জলকে আটক করে গাছে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ কিছুদিন আগে ওই নারীর ভাশুরের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ হয়। স্বামী প্রবাসে থাকায় ভাশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে এএসআই তোফাজ্জল ওই নারীর সাথে সখ্য গড়ে তোলেন।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর