ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়া দৌলতপুরে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যানপুর বটতলা বাজারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় কল্যাণপুরের বটতলা বাজারে সংঘটিত এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করছে। 

এদিকে বুধবার রাতে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম চৌধুরী জানান, আমার নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে নেতাকর্মীরা সন্ধ্যার সময় মানুষের সাথে নির্বাচনী বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমার নেতাকর্মীরা বাধা দিলে হামলাকারীরা গুলি চালায় এবং আমার কর্মী সমর্থকদের মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। 

এদিকে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম রকি জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন বটতলা এসে লাভলু মাস্টারের ভাতিজা তাদের কর্মী মাসুদকে তুলে নিয়ে যেতে চান। তারা লাভলু মাস্টার ও মাসুদের বাড়ি ভাঙচুর করেন। সেখানে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করেন। মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন। এরপর উল্টো তারা আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে থানায় অভিযোগ দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিক জানান, আমরা একটি গোলযোগের খবর শুনেছি। সেখানে দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। বিষয়টি তদন্ত করে তারপর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী? সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

অপরদিকে  বুধবার সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে সেখানে ইন্সপেক্টর জাবীদ হাসানকে নতুন ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীকে না থাকলেও উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন বিএনপির নেতারা। একইসঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। প্রায় দিনই কোনো না কোনো ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।   বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 



এই পাতার আরো খবর