ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নীলফামারী
একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মৃত্যু, চলন্ত ট্রেন আটকে বিক্ষোভ
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঝরে গেলো একই পরিবারের তিন ভাই-বোনসহ চার তাজা প্রাণ। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নীলফামারী সদরের কুন্দুপুকুর বউবাজার রেল ঘুন্টির কাছে নির্মাণাধীণ রেল সেতুর কাছে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এই পথ দিয়ে আসা ট্রেন আটকে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলো নীলফামারীর আকাশ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন বউবাজার এলাকায় নির্মাণাধীন রেল সেতুর উপর দাঁড়িয়ে ট্রাক্টর থেকে ইট নামানো দেখছিলো তিন ভাই-বোন রিমা, রেশমা ও মমিনুর। এসময় চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রকেট মেইল ট্রেনটি সেতুর খুব কাছে আসলেও ট্রাক্টরের বিকট শব্দে ট্রেনের উপস্থিতি বুঝতে পারেনি তিন শিশুর কেউই। পাশ থেকে দুর্ঘটনার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাঁদের বাঁচাতে ছুটে আসেন স্থানীয় যুবক শামীম হোসেন। শামীম শিশু মমিনুরকে নিয়ে সেতু থেকে ঝাঁপ দেয়ার সময় চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থলে মারা যায় দুই বড় বোন রিমা ও মেজ বোন রেশমা। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক  রিমা-রেশমার ছোট ভাই মমিনুর ও শামীমকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজন হারানোর শোকে প্রলাপ করছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

মর্মান্তিক ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় মানুষ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঐ পথ দিয়ে চিলাহাটি-খুলনাগামী রূপসা ট্রেনটি ঘটনাস্থলে আসলে আটকে ভাঙ্গচুর করে বিক্ষুব্ধরা। স্থানীয়দের দাবি, রেল ক্রসিং না থাকায় এবং ঝড়ে গেলো চার চারটি তাজা প্রাণ।

পরে নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান হস্তক্ষেপে বেলা সোয়া ১১টায় আটক ট্রেনটি ছেড়ে যায় গন্তব্যে। স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর