ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দাড়ি-গোঁফ কেটে কক্সবাজার ছাড়েন সেই টর্নেডো আশিক
অনলাইন ডেস্ক
গ্রেফতার এড়াতে চেহারার বেশভূষা পরিবর্তন করেন আশিকুল।

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা ও প্রধান আসামি মো. আশিকুল ইসলাম আশিক ওরফে টর্নেডো আশিককে (২৯) রবিবার রাতে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তবে আশিক গ্রেফতার এড়াতে তার ভ্রু, দাড়ি ও গোঁফ কেটে ফেলেছিলেন।

সোমবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় আশিকের মুখে দাড়ি ও গোঁফ ছিল। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ভাইরাল হলে আশিক গ্রেফতার এড়াতে ভ্রু ও দাড়ি কেটে ফেলে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায় আশিক। পরবর্তী সময়ে সে বেশভূষা পরিবর্তন করে ঘটনার দুইদিন পর কক্সবাজার থেকে বাসযোগে ঢাকায় আসে। তারপর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে তাকে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার হয়।

আলোচিত ধর্ষণকাণ্ড সম্পর্কে আশিকুল জানায়, তারা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাবণি বিচ এলাকার রাস্তা থেকে ভুক্তভোগীকে সিএনজি চালিত অটো রিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ধর্ষণ ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটক করে রেখে ওই নারীর স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভিকটিমকে হোটেলে আটকে রেখে বের হয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে আশিকুল আত্মগোপনে চলে যায়।

ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে র‌্যাব কমান্ডার বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। তাদের সঙ্গে ৮ মাস বয়সের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। শিশুটির জন্মগতভাবে হার্টে ছিদ্র থাকায় তার চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ অর্থ সংকুলানের আশায় কক্সবাজারে অবস্থান করছিল পরিবারটি। তারা বিত্তবান পর্যটকদের নিকট হতে অর্থ সাহায্য চাইত।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর