ঢাকা, রবিবার, ২১ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নাটোরে মটরশুঁটির বাজার জমজমাট
নাসিম উদ্দীন নাসিম, নাটোর

উত্তরের জনপদ নাটোরে বিগত কয়েক বছর ধরেই শীতকালীন সবজি হিসাবে চাষ হচ্ছে মটরশুঁটি। সবজি হিসাবে বেশ জনপ্রিয় মটরশুঁটি। কোন প্রকার সার ও কীটনাশক ছাড়াই উৎপাদিত হয় এই সবজি। পুষ্টিগুনে ভরা এই সবজি নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়ীয়া ও ছাতনী ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে চাষ হয়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এ সমস্ত মটরশুঁটি যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ জেলার বাহিরে। ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।

বর্তমানে সদর উপজেলার এই দুই এলাকা মটরসুটি চাষের জন্য দেশব্যাপি খ্যাতি লাভ করেছে। এই এলাকার কৃষকেরা এখন মটরশুঁটি উত্তোলন ও বাজারজাত করনে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। শীতকালের এই সময়ে সতেজ ও টাটকা মটরসুটি সংগ্রহের জন্য তেবাড়ীয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বাজারে এবং ছাতনী মাদ্রাসাঘাটে আড়ত বসানো হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে সতেজ মটরশুঁটি ক্রয় করে নিয়ে যায়। এই এলাকার মটরশুঁটি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় পাইকাররা। বাজার দর ভালো থাকায় এবং অনান্য খরচ না থাকায় কৃষকরা বেশ আগ্রহ্য সহকারে মটরসুটি চাষ করে। বর্তমানে মটরসুটির বাজার দর ৮৫-৯০ টাকা কেজি।

নাটোর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কালাম জানান, তিনি এ বছর চার বিঘা জমিতে মটরশুঁটি চাষ করেছেন। গাছে ফুল ও ফল যথেষ্ট পরিমানে রয়েছে। বাজার দর ঠিক থাকলে তিনি প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মটরশুঁটি বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক মুনাফা লাভের জন্য তিনি প্রতি বছর মটরশুঁটি চাষ করেন।

হয়বতপুর বাজারের আড়তদার আব্দূল মজিদ জানান, প্রতিদিন প্রায় ৩৫ মণ মটরশুঁটি তার আড়তে কেনা-বেচা হয়। ঢাকা,বগুড়া, নওগাঁ, সিলেটসহ অনান্য স্থান থেকে পাইকাররা এসে মটরশুঁটি কিনে নিয়ে যায়।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো.  মেহেদুল ইসলাম বলেন, বছরের এই মৌসুমে অন্য ফসলের তুলনায় কম সময়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য কৃষক মটরশুঁটি চাষ করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং এই এলাকার মাটি মটরশুঁটি চাষের উপযোগী হওয়ায় ব্যাপক আকারে মটরশুঁটি চাষ হচ্ছে। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে মটরশুঁটি চাষে উৎসাহিত করছি।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর