ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মাইলেজ সুবিধা চালুর দাবি, সান্তাহারে চার ট্রেনের যাত্রা বিরতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

রানিং স্টাফরা কাজে যোগ না দেওয়ায় বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার জংশন স্টেশনে দুটি যাত্রীবাহী মেইল ও দুটি তেলবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তাদের ‘যৌক্তিক’ আন্দোলন দ্রুত মেনে নেওয়া না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এ দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনে রানিং স্টাফরা ব্যানার টাঙিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, সৃষ্ট জটিলতা দূর না করলে আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধসহ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ সংগ্রাম পরিষদের সান্তাহার আঞ্চলিক কমিটি। 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাত ৩টায় খুলনা-পার্বতীপুর লাইনে (কেপি ৩৭ ও কেপি ৩৯) তেলবাহী দুটি ট্রেন বগুড়ার সান্তাহার জংশন স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে। ট্রেনটির লোকোমাস্টার, গার্ড ও টিটিইরা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন না করায় তেলবাহী ওই ট্রেন স্টেশন থেকে আর ছাড়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে লালমনিরহাট-সান্তাহার মেইলট্রেন (১৯ আপ ও ২০ ডাউন) দুটি ছাড়ার কথা থাকলেও লোকোমাস্টার, গার্ড ও টিটিইরা না থাকায় যাত্রা বাতিল করা হয়। 

সান্তাহার সহকারী লোকোমাস্টার এএলএম মাহমুদ হাসান মিশুক জানান, মাইলেজ বন্ধের প্রতিবাদে রেলওয়ে রানিং স্টাফ সংগ্রাম পরিষদের সান্তাহার আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে স্টেশনে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। তাছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত কালো আদেশের খ ও গ ধারা বাতিলের দাবিতে কর্ম বিরতিসহ সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সান্তাহারে কর্তব্যরত টিটিই রবিউল ইসলাম জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জটিলতা নিরসন করা না হলে সেদিন থেকেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবেন।

টিটিই এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান জানান, ট্রেনে আট ঘণ্টার বেশি দায়িত্ব পালনের জন্য ট্রেনের লোকোমাস্টার, গার্ড ও টিটিইরা আগে অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা পেতেন, যা রেলওয়ের ভাষায় মাইলেজ। সম্প্রতি রাষ্ট্রের বেসামরিক কর্মীদের মূল বেতনের অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার বিধান নেই উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে রেলের রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা বাতিল করা হয়। এখন এই মাইলেজ সুবিধা চালুর জন্যই আন্দোলন করা হচ্ছে। 

সান্তাহার জংশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম জানান, আন্দোলনের কারণে লোকবল না থাকায় দুটি তেলবাহী ও দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন সান্তাহার স্টেশন থেকে সঠিক সময়ে ছাড়ছে না। রানিং স্টাফদের জন্য ট্রেনগুলোর সময়সূচী এলোমেলো হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর