বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা প্রভাত ফেরী নিয়ে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান, পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, গ্রেড ১১-১৬ ও গ্রেড ১৭-২০ কল্যান পরিষদ, বঙ্গবন্ধু হল, শেরে বাংলা হল, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ২৪টি বিভাগ, ববিতে কর্মরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সংগঠন উত্তরাধিকার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, ডিবেটিং সোসাইটি, ছাত্রলীগ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।
এদিকে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সকাল ১১টায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। সভায় অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
ববি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আব্দুল কাইউমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যুক্ত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক দূর এগিয়েছি। তবে অর্থনৈতিক অগ্রগতিই প্রধান বিবেচ্য বিষয় নয়। শিক্ষা, গবেষণা এবং মৌলিক চিন্তার ক্ষেত্রে সৃজনশীল ও মননশীল কর্মকান্ডের বিকাশে আমাদের সমান তালে আগাতে হবে। কোন জাতিই অন্য ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করে বা গবেষণা করে বেশি দূর এগোতে পারে না। জাতি হিসেবে যারা পৃথিবীতে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে তারা প্রথমত মাতৃভাষায় কাজটি করেছে। যখন জ্ঞান ও বুদ্ধির একটি সম্পদ সৃষ্টি হয়ে যায়, তখন তা বিতরণের জন্য অন্য ভাষার সহায়তা নেয়। তাই আমাদের সব কিছুর আগে নিজের মাতৃভাষা চর্চার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল