ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

লাউয়াছড়ায় দুই বন্যপ্রাণীর মৃত্যু
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
মৃত চশমাপরা হনুমান।

বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে লাউয়াছড়ায় একটি চশমাপরা হনুমান ও একটি বানর মারা গেছে। বানরটি মারা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চাপায়। আর চশমাপরা হনুমান মারা যায় বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে। এই দুটি প্রাণীই মারা যায় বৃহস্পতিবার বিকেলে।

বনবিভাগ থেকে যানা যায়, জাতীয় উদ্যানের শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ সড়কের গাড়িভাঙ্গা এলাকায় রাস্তা পারাপারে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চাপায় বানরটি মারা গেছে। একই দিনে লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজের কাছে বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে একটি চশমাপরা হনুমান মারা যায়। মারা যাওয়ার সময় হনুমানের সাথে মাত্র দুদিনের একটি বাচ্চা ছিল। বাচ্চাটির সামনেই মা হনুমান মারা যায়। এসময় বাচ্চাটি চিৎকার করে কাঁদছিল। বাচ্চার কান্নায় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি উপস্থিত বনকর্মীরা।

লাউয়াছড়া রেঞ্জে কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, দুটি প্রাণীই ঘটনাস্থলে মারা যায়। আমরা হনুমানের বাচ্চাটি উদ্ধার করে রেসকিউ সেন্টারে এনে রেখেছি।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, দুর্ঘটনার শিকার দুটি প্রাণীকে বাঁচাতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি। ঘটনাস্থলেই তারা মারা যায়। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগও আমরা পাইনি। পরে এগুলোকে বনের রেসকিউ সেন্টার এলাকায় মাটি চাপা দেওয়া হয়।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বন্যপ্রাণী দিবসেই দুটি প্রাণী মারা গেছে, এটা হৃদয়বিদারক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এখন আমরা চশমাপরা হনুমানের বাচ্চাটি বাঁচানোর চেষ্টা করছি। তবে বাচ্চাটিকে বাঁচাতে পারলে এটি আর বনে থাকবে না। মানুষের সংস্পর্শে এসে পোষ্য হিসেবে বড় হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চালানোর জন্য চালকদের মধ্য সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালনো হয়েছিল। এসময় যানবাহনে সর্বোচ্চ গতিসীমা ২০ কিলোমিটার লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর