ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চরভদ্রাসনে টেটা দিয়ে মারা হলো রাসেল ভাইপার
চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে টেটা দিয়ে মারা হয়েছে পাঁচ ফুট দৈর্ঘের বিষধর রাসেল ভাইপার। বুধবার সকাল ১০টার দিকে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের আব্দুল হাই খানের হাট সংলগ্ন এক  ধানক্ষেত হতে সাপটি মারা হয়।

স্থানীয়রা জানান ২নং ওয়ার্ডের চর শালিপুর পশ্চিম গ্রামের মৃত শেখ আদেলের পূত্র শেখ মোশারফ (৪৩) সেচ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তার ইরিধান ক্ষেতে যান। এ সময় তিনি সাপের গর্জন শুনে চিৎকার করে উঠেন। তার চিৎকারে পাশে কাজ করতে থাকা অন্য কৃষকেরা এগিয়ে এসে সাপটি দেখতে পান। পরে আতংকিত জনতা টেটাবিদ্ধ করে সাপটি মেরে ফেলেন এবং সাপটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন।

ছবি দেখে সাপের পরিচয় নিশ্চিত করে চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক ইব্রাহিম আল হায়দার বলেন, এটি বিষধর রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। এই সাপটিকে 'আইইউসিএন বাংলাদেশ' ২০০২ সালের নিরীক্ষায় বাংলাদেশে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০১২ সালে (কারো কারো মতে ২০০৯ সালে) পুনরায় রাজশাহীর চরাঞ্চলে দেখা যায়। সম্প্রতি এই সাপটি পদ্মা ও মেঘনা নদীর তীরবর্তী জেলাসমূহ, বরিশাল অঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের চাঁদপুর, লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম জেলায় দেখা গেছে। এই প্রজাতির সাপ নিউরোটক্সিক ও হিমোটক্সিক বিষ ধারণ করে। এই প্রজাতির সাপের দংশনের ফলে প্রাথমিক অবস্থায় দংশিত স্থান ফুলে যায়, ধীরে ধীরে স্নাযুতন্ত্র ও কিডনি বিকল হয়ে পরে। ফলশ্রুতিতে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অধিকাংশ জেলা সদর হাসপাতালে এই সাপের বিষের প্রতিষেধক পাওয়া যায়। তাই এই সাপের দংশনের পর দংশনের শিকার রোগীকে অতিদ্রুত হাসপাতালে নেওয়া গেলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। 

উল্লেখ্য, এই প্রজাতির সাপ দংশন করলে দংশনের স্থানে/রোগীর শরীরে কোন প্রকার কাঁটাছেড়া করা যাবে না। এতে দংশনের শিকার ব্যক্তির মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর