ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কলমাকান্দায় পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি ছড়ার (নালা) ময়লাযুক্ত ঘোলা পানি অথবা টিলার নিচে তিন চাকের (চাক্কি) তৈরি অগভীর কূপের ময়লা পানিই হয়ে ওঠেছে পাহাড়ের মানুষদের একমাত্র ভরসা। উপজেলার লেংগুরা, খারনৈ ও রংছাতি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি আদিবাসী গ্রামে চলছে এমন সঙ্কট। 

আদিবাসী গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জানান, গভীর নলকূপ না থাকার কারণেই দেখা দিয়েছে এমন সঙ্কট। তবে শুধু এবারের শুষ্ক মৌসুমেই নয়, প্রতিবারই শুষ্ক মৌসুমে এমন সঙ্কট দেখা দেয় পাহাড়ি গ্রামগুলোতে। এসব গ্রামের স্বচ্ছল পরিবারের লোকজন প্রয়োজনমতো একাধিক নলকূপ স্থাপন করে পানির সঙ্কট মেটায়। কিন্তু দিন এনে দিন খাওয়া এমন হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত পরিবারগুলোর পক্ষে তা সম্ভব হয় না। 

কলমাকান্দা উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা লেংগুরা ইউনিয়নের পাহাড়ী অঞ্চলগুলোতে বেশ কিছু গভীর কূপ সরকারি ভাবে তৈরি করে দিয়েছেন। তবে স্থানীয়দের দাবি অধিকাংশ কূপ নির্মাণের ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই অকেজো হয়ে পড়েছে। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শুধু এক বা একাধিক বাড়িতেই না, অনেক পাড়াতেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অগভীর নলকূপগুলোতে কোনো পানি উঠছেনা। এ কারণে অনেকে দূর থেকে খাবার পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। আবার বেশিরভাগ পরিবার ব্যবহার করছে কুঁয়ো অথবা ছড়ার পানি। 

সুদীপ্ত হাজং বলেন, চন্দ্রডিঙ্গার আশপাশের অন্তত ৮টি গ্রামের লোকজন সীমান্তের জিরো লাইন থেকে তেলের টিন, কলসি না হয় বালতি দিয়ে ঘাড়ে বয়ে পানি আনতে হয়। কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগী হয়ে কিছু টিউবওয়েল বা গভীর কুঁয়ো বসিয়ে দিতেন এ এলাকার লোকজনের বিশুদ্ধ পানির দুর্ভোগ দূর হয়ে যেত।

কলমাকান্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ওই অঞ্চলগুলোতে পাথরের জন্য টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয় না। তবে পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে বেশকিছু রিংওয়েল বসানো হয়েছে। এখানো দশটি রিংওয়েল বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর