ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

লোকসানের আশঙ্কায় ভারত থেকে পিয়াজ আমদানিতে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের
দিনাজপুর প্রতিনিধি
লোকসানের আশঙ্কায় ভারত থেকে পিয়াজ আমদানিতে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আইপি অনুমোদন শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ব্যাপক পিয়াজ আমদানি করে আমদানিকারকরা। কিন্তু এখন ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। আবার নতুন করে আইপি দিলেও লোকসানের আশঙ্কায় ভারত থেকে পিয়াজ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ নেই।

গত ২৯ মার্চ আইপি মেয়াদ শেষ হয়। পরে রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নতুন করে পিয়াজ আমদানির জন্য আইপি অনুমোদন দেয়। কিন্তু সরকার আইপি অনুমতি দিলেও এখন ভারতে দাম বেশি ও বাংলাদেশে পিয়াজের দাম কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় পিয়াজ আমদানি করছে না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ক্রেতা না থাকায় স্থলবন্দরের আড়তগুলোতে ৩ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পিয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে।

সর্বশেষ চলতি সপ্তাহের গত মঙ্গলবার পিয়াজ আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে। তারপর আর কোনো পিয়াজ আমদানি হয়নি এই বন্দর দিয়ে। দুই দিন ধরে বন্ধ রয়েছে পিয়াজ আমদানি।

শুক্রবার হিলি স্থলবন্দর ও স্থানীয় আড়তে দেখা যায়, গত মঙ্গলবারে আমদানি করা ভারতীয় ১১টি পিয়াজ বোঝাই ট্রাক ক্রেতা না থাকায় এখনো বন্দরে বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। শুধু বন্দরে নয়, স্থানীয় আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত পিয়াজের সরবরাহ থাকলে ক্রেতা না থাকায় পচে যাচ্ছে এসব পিয়াজ। আড়তগুলোতে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দরের পিয়াজ আমদানিকারক বাবু হোসেন জানান, আইপির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমরা বেশি করে পিয়াজ আমদানি করেছি। সরকার নতুন করে আইপি দেওয়ায় আমদানি করা সেই পিয়াজগুলো এখনো বিক্রি করতে পারিনি। বন্দরে ক্রেতা নেই, অন্যদিকে পিয়াজের দাম অনেক কম এবার লোকসান গুনতে হবে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, আইপি বন্ধের আশঙ্কায় ভারতে আটকে থাকা পিয়াজ বেশি বেশি আমদানি করে স্থানীয় আমদানিকারকরা। তবে সম্প্রতি সরকার নতুন করে আইপি দিলেও ভারতে পিয়াজের দাম বেশি হওয়ায় এবং দেশের বাজারে দাম কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় পিয়াজ আমদানি করছে না আমদানিকারকরা। স্থানীয় আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত পিয়াজের সরবরাহ রয়েছে, সেগুলো অতিরিক্ত গরমে পচতে শুরু করেছে। বন্দরে ৩ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পিয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি রমজানে পিয়াজের দাম বাড়বে না।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর