ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের ছয় স্থানে মহাষ্টমীর পুণ্যস্নানে হাজারো মানুষের ঢল
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলার ছয় স্থানে মহাষ্টমীর পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহাষ্টমীর পুণ্যস্নান উপলক্ষে ওইসব এলাকায় মেলা ও পূজার্চনার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ওই পুণ্যস্নান ও মেলায় অংশ নেয়। 

জানা গেছে, জেলার ছয়টি জায়গায় অনুষ্ঠিত মহাষ্টমীর পুণ্যস্নানের মধ্যে রয়েছে- মধুপুরের বংশাই নদীতীর, গোপালপুর উপজেলার বৈরাণ নদীর পালপাড়া, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী এলাকাস্থ যমুনা নদী তীর, কালিহাতী উপজেলা সদরে ঝিনাই (ফটিকজানী) নদী তীর ও এলেঙ্গা বাজারস্থ নিউ ধলেশ্বরী নদীতীর এবং মির্জাপুর উপজেলা সদরস্থ বংশাই নদী তীর।

শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকে ওইসব এলাকায় পূণ্যার্থীরা ভীর করে। তারা পূজার্চনা, পুণ্যস্নান ও মেলায় অংশ নেয়। মহাষ্টমীর পুণ্যস্নানকে ঘিরে সকাল থেকে মেলা বসে। মেলায় মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাঁশ-বেতের তৈজসপত্র, মাটির তৈরি খেলনা, পুতুল, ঘোড়া, ট্রাক গাড়ি, হাড়ি-পাতিল, মাছের দোকান, চিড়া-মুড়ি, দইসহ দোকানিরা নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। পুণ্যস্নানে আসা মানুষ সৃষ্টিকর্তার কাছে বিভিন্ন মানত ও দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনায় পূজা অর্চনার মাধ্যমে প্রার্থনা করে থাকে। 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী এলাকায় যমুনা নদীর তীরে তিনশ’ বছরের পুরানো শ্রী শ্রী কালী মন্দির সংলগ্ন ঘাটে পুণ্যস্নান  ও মেলার আয়োজন করা হয়। স্নান  করতে আসা ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের সাবেক প্রভাষক সুহাষ চন্দ্র সরকার বলেন, যমুনার ‘পুণ্যস্নান’ এখন তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে পূণ্যার্থীরা তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য স্নান করতে আসছে। 

পুণ্যস্নানে অংশ নেওয়া সাধন দাস, রঞ্জিত কর্মকার, সুবীরসহ অনেকেই বলেন, ‘নদীর তীরের নতুন জলে অষ্টমীর স্নান করেছি- পূজা দিয়েছি। মহাষ্টমীতে এখানে স্থানীয় লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ মেলা দেখতে আসে। পুণ্যস্নান কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচনের আশায় যমুনা নদীতে পুণ্যস্নান করতে আসেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এবারের স্নান উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

ভুঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, পুণ্যস্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘাট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। যমুনা নদীতে পুণ্যস্নান উৎসবে হাজার হাজার পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছিল। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে এ পুণ্যস্নান  অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কেউ কেউ এটাকে গঙ্গাস্নানও বলে থাকেন। প্রতিবছর এদিনের দুপুরে কালী পূজা ও কীর্তন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর