ঢাকা, শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

তিন ভাই চালাতো সেই অবৈধ আতশবাজির কারখানা
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে তিন ভাই মিলে অবৈধ সেই আতশবাজির কারখানা চালাতো। এছাড়াও প্রতিবেশী একজন ছিল ওই কারখানার সাথে জড়িত। আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের পর বুধবার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলে বিষয়টি জানা যায়। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। নান্দাইল থানায় মামলাটি করেন এসআই বাবলুর রহমান।

আসামিরা হলেন- তিন ভাই বোরহান উদ্দিন (৫০), ফকর উদ্দিন (৬০), শাহজাহান (৪০) ও প্রতিবেশী হেলিম মিয়া (৪৫)। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, বিগত ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে বোরহান উদ্দিনসহ তার তিন ভাই ও এক প্রতিবেশী এই কারখানায় নানা ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য আতশবাজি ও পটকা তৈরি করে আসছিল। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, অবৈধভাবে পটকা তৈরির কোনো তথ্য আমাদের কাছে ছিল না।

ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর মন্টু বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ হয় পুরো কারখানায়। অন্যদিকে সিআইডির এক্সপার্টরা বিস্ফোরণের মূল কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশাটি গ্রামের ওই আতশবাজির কারখানায় গত বুধবার ভোরে একটি বিস্ফোরণ হয়। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে ধসে পড়ে আধাপাকা বাড়িটি। নিহত হয় নাছিমা বেগম (৩০) ও আফিলা বেগম (৪৫) নামের দুই নারী শ্রমিক।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত শ্রমিক আফিলা বেগমের স্বামী আব্দুল গণি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী গত ৬-৭ মাস ধরে সপ্তাহে আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মজুরিতে শ্রমিকের কাজ করত ওই কারখানায়। বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে এই পটকা কারখানা থেকে পাইকারি দামে পটকা বিক্রি করা হতো বলে জানায় প্রতিবেশীরা। সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে কারখানাটিতে চলছিল পটকা তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর