ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত দিনাজপুরের ক্রেতা-বিক্রেতারা
দিনাজপুর প্রতিনিধি

ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে কেনাকাটা তত বাড়ছে। বাড়ছে দোকান-পাট আর শপিং মলে ক্রেতাদের ভিড়। ভিড় বেড়েছে ফুটপাথের অস্থায়ী দোকানগুলোতেও। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। তবে দোকানিদের বিরুদ্ধে বেশি দাম হাকানোর দাবি ক্রেতাদের। অপরদিকে পছন্দের জিনিস কিনতে দাম বেশি বললেন বিক্রেতারা।

শনিবার দিনাজপুর শহরের কাপড় মার্কেট ও বিভিন্ন বিপণী বিতান ঘুরে দেখা যায়, সব দোকানেই ক্রেতাদের চাপ রয়েছে। তবে কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের চাপ কমে গেছে। কারণ টেইলার্সগুলো এখন আর নতুন কাপড়ের অর্ডার নিচ্ছে না। তাই চাপ বেড়েছে রেডিমেট গার্মেন্টস, জুতা, কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন দোকান ও মার্কেটে। এবার বাজারে সবার দৃষ্টি কেড়েছে ‘সারারা কারারা’, লেহেঙ্গা, জর্জেট, কাতান, মনিপুরী কাতান। 

পছন্দের কাপড়ের সাথে ম্যাচিং করে জুতা, নেইল পালিশসহ অন্যান্য কসমেটিকস কিনতে বিভিন্ন বয়সের নারীরা ভিড় করছেন এইসব বিভিন্ন  মার্কেটে। ঈদকে ঘিরে গড়ে তোলা কয়েকটি বিপনী বিতানেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতার দোকানেও এখন ভিড় দেখা যাচ্ছে। ক্রেতাদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক দোকানের সেলসম্যানরা। 

একটি জুতার দোকানে শিশু তাবাসশুম জানায়, সুন্দর দেখে মনের মত একটা ড্রেস কিনেছি। এখন ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে ওই রঙের জুতা খুঁজছি। এখনও খুঁজে পাইনি। এরপর ওই রঙের নেইল পালিশ আর লিপস্টিক কিনব।

কয়েকজন দোকান মলিক জানায়, রমজানের রোজা শুরুর দশ দিন ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। তবে পরের দশ দিন বেচাকেনা অনেক ভাল হয়েছে। থ্রি-পিছের দোকানে শেষের দিকে বিক্রি কমে যায়। কারণ টেইলার্সগুলো কাজের চাপে নতুন করে আর অর্ডার নেয় না।

মালদহপট্রির শাড়ি হাউজের পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, করোনার কারণে গত দুইবছরে ব্যবসা ভাল হয়নি। কিন্তু এবাার ক্রেতাদের চাহিদার কথা মনে রেখে সকল ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। আমরা চাই ক্রেতারা তাদের পছন্দমত এবং সুলভ মূল্যেই তাদের ঈদের কেনাকাটা করতে পারে।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর