ঢাকা, বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হলুদ তরমুজে কৃষক খলিল মিয়ার বাজিমাত!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়া ফেলেছে বিশেষ লেনফাই জাতের তরমুজ। বাজারের অন্যান্য তরমুজের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি মিষ্টি, ভিতরটা হলুদ। ফলে ক্রেতাদের কাছেও বেশ সমাদৃত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথমবারের আবাদ হয়েছে এমন বিশেষ জাতের তরমুজ। সারা বছর আবাদযোগ্য এই তরমুজের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত বছর ১৪ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হলেও এবার আবাদ হয়েছে ১৭ হেক্টর জমিতে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ছাড়াও জেলার কসবা, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, নাসিরনগর ও আখাউড়ায় তরমুজের আবাদ হয়। জেলায় দেশীয় জাত ছাড়াও ব্ল্যাক বেরি, সুইট বেরি লেনফাইসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের তরমুজ চাষ হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কৃষক খলিল মিয়া লেনফাই নামে হাইব্রিড জাতের তরমুজের আবাদ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। কৃষক খলিল মিয়া বলেন, ‘প্রথম বারে আমি পরীক্ষামূলক চাষ করলেও লাভজনক হওয়াই দ্বিতীয়বারে আবারও এক বিঘা জমিতে আবাদ করি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৫৫/৬০ হাজার টাকা। ফলন ভাল হওয়াই বিক্রি করতে পারলে আমার উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে।’

সরেজমিন দেখা যায়, গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে তরমুজের অংশ বিশেষ দেখা যাচ্ছে। কৃষকরা ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার কাজে ব্যস্ত আছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা আসছেন জমি থেকেই তরমুজ কিনতে। খলিলের ক্ষেতে পরিচর্যাকারী শ্রমিক হুমায়ুন মিয়া  বলেন, ‘তরমুজ চাষ ঝামেলা মুক্ত। নিয়মিত আগাছা মুক্ত করা ছাড়া তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয় না। তবে তরমুজ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমাদের ফলন বেশ ভাল। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা লোকজন ক্ষেত থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। নতুন ধরনের তরমুজ দামও বেশ ভাল পাওয়া যাচ্ছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য কারিগরী সহযোগীতাসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’ জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মাঠের পরিবেশ ভাল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর গড়ে হেক্টর প্রতি ১৪ টন তরমুজ পাওয়া বলে আশা করছি। লাভের বিষয়টি বিবেচনা করেই কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুঁকছে।’

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর