ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি
নাজমুল হুদা, সাভার

ঘরমুখী মানুষ পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়ছেন। সকাল থেকে সাভার ও আশুলিয়ার প্রধান সড়কগুলোতে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। এছাড়াও প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ যানজট ও ভ্যাপসা গরমে নাকাল ঘরমুখো মানুষ। সাভার ট্রাফিক পুলিশ জানান, ঈদ যাত্রা শেষ পর্যায়ে আছে। মানুষ এখন দল বেঁধে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ফিরছে।

এই সময় সামান্য যানজট হবে—এটাই স্বাভাবিক। এছাড়া সড়ক-মহাসড়ক ঘরমুখী মানুষ ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। গন্তব্যে পৌঁছাতে গাদাগাদি করে গণপরিবহনে ওঠায় উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। যানজটে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে কয়েক গুণ বেশি। সকাল থেকে ঢাকা টাঙ্গাইল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অপেক্ষমাণ ঘরমুখো মানুষের চাপ ছিল। বাস, মিনিবাস, সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। দুপুরে পোশাক কারখানা ছুটি হলে মানুষের চাপ আরও বেড়ে যায়।

এছাড়া ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের লম্বা সারি দেখা গেছে মহাসড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা–আরিচা মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকায় উত্তরবঙ্গমুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীর চাপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে অনেককে। এদিকে, তীব্র গরম ও যানজটে ট্রাক আটকে থাকায় সুস্থভাবে পরিবহন করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। 

ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। যাত্রীবাহী বাসের তুলনায় ও পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেশি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। সাভার হাইওয়ে থানার (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন জানান, কর্মকর্তা ও সদস্যসহ তাদের জনবল ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভোগান্তি দূর করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ কাজ করছে। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সড়কে তৎপর আছেন। তবে পুলিশের কড়া নজরদারিতে ভোগান্তির অভিযোগও করেছেন অনেকে।

রোকেয়া বেগম নামের একজন জানান, তিনি সাভার হেমায়েতপুর থেকে বগুড়া যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। বাসস্ট্যান্ডে ট্রাফিক পুলিশের কড়া নজরদারি থাকায় লোকাল গাড়িগুলো ঠিকমতো থামছে না। তাই বয়স্ক ও অসুস্থরা গাড়িতে উঠতে পারছেন না। অন্য যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ড থেকে তিন গজ দূরে দৌড়ে বাসে উঠছেন। নবী হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে লোকাল কোনো গাড়ি থামতে দেয়া হচ্ছে না। এখানে মহাসড়কের প্রশস্ত কম হওয়ায় একটা গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তুলতে গেলে যানজট লেগে যায়। তাই যাত্রী তুলতে গেলেই পুলিশ দৌড়ানি দিচ্ছে। এই স্ট্যান্ডে একটু বাড়তি জায়গা নেই। আমাদের এখান থেকে গাড়িতে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর