ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথ
বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙেছে ফেরির র‌্যাম্প, পদ্মায় আটকা ৪ ঘণ্টা
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙেছে ফেরির র‌্যাম্প।

শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথে ফরিদপুর নামে একটি ফেরি রাতে পদ্মা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়েছিল। এসময় বালু বোঝাই বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে ফেরির সামনে থাকা একটি র‌্যাম্প ভেঙে যায়। ফলে ফেরিটি যানবাহন নিয়ে চার ঘণ্টা ডুবচরে আটকে থাকে। তবে ফেরির র‌্যাম্প সংস্কার করার জন্য শিমুলিয়া ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর ঝড়ের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে দুই ঘণ্টা ফেরি চালানো বন্ধ রাখা হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্র জানায়, ফেরি ফরিদপুর গত এক সপ্তাহ যাবৎ শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথে চলাচল করছে। রবিবার দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটের সময় ১৫টি যানবাহন ও ২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে জাজিরার সাত্তার মাদবর মঙ্গল মাঝির ঘাটের দিকে রওনা হয়। একপর্যায়ে রাত সোয়া তিনটির দিকে পদ্মা নদীতে ঝড়ের কবলে পরে ফেরিটি। তখন একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড ফেরিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরিটি নদীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুতের খুঁটির সাথে ধাক্কা লাগে।

এরপর ফেরিটি ডুবচরে আটকা পরে। তখন ফেরির সামনের দিকে থাকা একটি র‌্যাম্প ভেঙে যায়। র‌্যাম্পের নিচে একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকা পরে। পরে চার ঘণ্টার চেষ্টায় ডুবচর থেকে ফেরি নামিয়ে আনেন চালক। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ফেরিটি মঙ্গল মাঝির ঘাটে ভেরানো হয়। ফেরিতে থাকা অন্য র‌্যাম্প দিয়ে যানবাহন নামানো হয়। ভাঙা র‌্যাম্প সরিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটিও ফেরি থেকে নামানো হয়। র‌্যাম্প পরে অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস ভেঙে যায়।

পরে সকাল ৯টার দিকে খালি ফেরিটি নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে রওনা হয় বিআইডব্লিউটিসির কর্মীরা। শিমুলিয়া ঘাটে মেরিন বিভাগের প্রকৌশলীরা ফেরির র‌্যাম্প সংস্কার করবেন বলে জানা গেছে।

ফেরি ফরিদপুরের মাস্টার (চালক) শৈশব দে বলেন, প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস আর বৃষ্টিতে ফেরি চালাতে কষ্ট হচ্ছিল। পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় হঠাৎ একটি বাল্কহেডের সাথে ফেরির ধাক্কা লাগে। ফলে ফেরিটি বিদ্যুতের খুঁটির সাথে ধাক্কা লাগে। ফেরি রক্ষা করার জন্য ডুবচরে তুলে দেই। পরে নদীতে জোয়ার হলে ডুবচর থেকে ফেরি নামিয়ে আনা হয়। এ কারণে যানবাহন ও যাত্রীদের কোনো অসুবিধা হয়নি। ফেরিটি মেরিন বিভাগের প্রকৌশলীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার পরে সিদ্ধান্ত নেবেন, এটা ডকে পাঠানো লাগবে কি না।

শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথের ফেরি ফরিদপুরে আটকে পরা যাত্রী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ১৫টি গাড়ি ও ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিটি ঝড়ের কবলে পরে। ফেরিটি দুই দফা ধাক্কা লাগে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরি। চার ঘণ্টা আতঙ্ক নিয়ে পদ্মা নদীর চরে আটকে ছিলাম।

জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির মেরিন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক আহম্মেদ আলী বলেন, ঝড়ের কবলে পরে ফেরিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুনেছি একটি বাল্কহেডের ফেরির সামনের দিকে ধাক্কা লেগেছে। তাতে ফেরির র‌্যাম্প ভেঙে গেছে।  সেটি সংস্কার করা হবে। এরপর পুনরায় ওই নৌপথে ফেরিটি চলাচল করবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর