ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সংযোগ সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগ
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
সংযোগ সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগ

ময়মনসিংহের ফুলপুর সদর ইউনিয়নে বাতিকুড়া টু ডেফুলিয়া কাঁচা সড়কে বটখালী সুইচ গেটের উভয় পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এই সুইচ গেট দিয়ে কুঁইড়া খাল, ইংলিপাড় বিল, বাইন বিল, ঢেহি বিল, পাইল্যা বিল ও রৌহা বিলসহ প্রায় ৭টি বিলের পানি কংশ নদীতে নামে।

এছাড়া এ কাঁচা সড়কটি দিয়ে বাতিকুড়া, বাখাই, মধ্য নগর ও ডেফুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন চলাচল করে থাকেন। সহজে হালুয়াঘাট যেতে বালিয়া ও বওলা এলাকার লোকজনও এদিক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। এসব এলাকার মানুষকে তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা, অফিসিয়াল কার্যক্রম ও হাসপাতালে রোগী আনা-নেওয়াসহ যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে উপজেলা সদরে যেতে এ সংযোগ সড়কটির অভাবে অতিরিক্ত ৬ কিলোমিটার ঘুরে বাখাই হয়ে ফুলপুর যেতে হয়।

সংযোগ সড়কটি হয়ে গেলে ডেফুলিয়া হয়ে ফুলপুর যেতে কমে যাবে ৩ কিলোমিটার দূরত্ব। তাছাড়া বাতিকুড়া গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় বা উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় এই এলাকার ছেলে মেয়েদের ৭ কিলোমিটার দূরে বাখাই ময়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ালেখা করতে হয়। যদি সংযোগ সড়কটি হয় তবে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে ডেফুলিয়া স্কুলে গিয়ে তারা পড়তে পারবে।

এখন যারা ডেফুলিয়া স্কুলে পড়ে বটখালী সুইচ গেটে সংযোগ সড়ক না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই তাদের নৌকা দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। এ কারণে অভিভাবকদের সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। এছাড়া ডেফুলিয়া বাজার মুখাপেক্ষী লোকদের জন্যেও এই সংযোগ সড়কটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে শুধু কষ্ট নয় বরং সময় ক্ষেপণসহ গুণতে হয় বাড়তি যাতায়াত খরচ।

সরেজমিন কথা হয় বাতিকুড়া গ্রামের নুরুজ্জামান খানের সাথে। তিনি বলেন, কুঁইড়া খাল, বাইন বিল, ঢেহি বিল, ইংলিপাড় বিল ও রৌহা বিলসহ ৭টি বিলের পানি এই বটখালী সুইচ গেট দিয়ে কংশ নদীতে নামতে গিয়ে স্রোতে কাঁচা সড়ক ভেঙে যায়। তাই এখানে একটি সেতু দরকার।

একই গ্রামের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা বাচ্চাদের লেখাপড়া। নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের কারণে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।

বাতিকুড়া গ্রামের ক্বারী আবুল হাশেম বলেন, ‘এই সুইচ গেইট নির্মাণের পর থাইক্যা আইজ তিন চাইড্ডা বছর ধইরা সংযোগ সড়কের অভাবে আমরা দুর্ভোগে আছি।’ এসময় সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী রকিব উল হাফিজ বলেন, এ সড়কটি মেরামতের জন্য আমাদের অফিস থেকে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর