ঢাকা, সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রৌমারী-রাজিবপুরে পানিবন্দী ৪০ হাজার মানুষ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
উজানের পানির ঢলে রৌমারী-রাজিবপুরে পানিবন্দী ৪০ হাজার মানুষ

দেড় সপ্তাহের বৃষ্টি আর ভারতের আসাম রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ৬ দিন ধরে রৌমারী উপজেলার জিঞ্জিরাম, আসামের কালোর ও ধরণী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আবারও বেশ কিছু নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৪৫টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। রাস্তা-ঘাট থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি পানিবন্দী এসব মানুষের। বন্যার পানি প্রবেশ করায় উপজেলার ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব এলাকার প্রায় ৫৯০ হেক্টর জমির আউশ ধান, আমন, পাট, চিনা, কাউন ও বাদামসহ বিভিন্ন প্রকার ফসলের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

অন্যদিকে, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পোড়ারচর ও পূর্ব তিন হাজারী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চললের দুই গ্রামের অন্তত শতাধিক পরিবার নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষ নৌকা ও কলা গাছের ভেলা ব্যবহার করে চলাচল করছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও  ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।

এদিকে, বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট। বন্যা কবলিতদের মাঝে সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা অপ্রতুল ও তা বিতরণ না হওয়ার অভিযোগ দুর্গত মানুষের।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর