ঢাকা, সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

ভারিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সীমান্তবর্তী পাঁচ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী। চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ২০৩ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৮৫ মিলিমিটার। একই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮১২ মিলিমিটার।

বন্যায় জেলার সীমান্তবর্তী তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, সদর দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এছাড়া সুনামগঞ্জ ও ছাতক পৌর এলাকাও বন্যার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে রয়েছে চলাচলের রাস্তা।

এদিকে, ছাতক-সিলেট, ছাতক-দোয়ারাবাজার, ছাতক-সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের বিভিন্ন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন বানভাসি মানুষ। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে ত্রাণের চাহিদা। 

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বন্যা জেলা শহরের বেশিরভাগ এলাকা ডুবে গেছে। জেলায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠার কারণে ক্লাস নেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া ছাতকে বন্যার্তদের জন্য ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে ৪০০টি পরিবারের ১০০০ সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। একইভাবে দোয়ারাবাজারে তিনটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০টি এবং সুনামগঞ্জ সদরে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে আরও ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। 

তিনি আরও জানান, বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরণের জন্য ২৪৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এছাড়া নগদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর