ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রায়পুরায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নরসিংদী প্রতিনিধি
রায়পুরায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নরসিংদীর রায়পুরায় শীলা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে রায়পুরা পৌরসভার পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শীলা আক্তার পলাশতলী ইউনিয়নের উত্তর কুনাপাড়া গ্রামের শহিদ মিয়ার মেয়ে ও রায়পুরা পৌরসভার পূর্ব পাড়া এলাকার রবিন মিয়ার স্ত্রী।

ঘটনার পর থেকে স্বামী রবিন মিয়া ও তার স্বজনরা পলাতক রয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন তার স্বামী ও স্বজনরা।

নিহতের স্বজনরা জানায়, আনুমানিক ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে রবির সঙ্গে শীলার বিয়ে হয়। তাদের বিবাহিত জীবনে দুটো কন্যা সন্তান আছে। নিহতের স্বামী প্রায়ই তাকে নানারকমভাবে নির্যাতন করতো। গত কিছুদিন পূর্বে শীলা নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যায়।

পরে স্বামী ও তার স্বজনরা ভবিষ্যতে এমন আর হবে না প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত শনিবার স্বামীর বাড়ি নিয়ে আসে। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা ঘরে উড়নায় ঝুলন্ত মরদেহটি দেখতে পায়। পরে প্রতিবেশী লোকজন তাদের স্বজনদের খবর দেয়। পরে নিহতের স্বজনরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহতদের স্বজন নাজমুল বলেন, গত ১০ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নিহতের স্বামী রবিন মিয়া প্রায়ই শীলার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করতো। বেশ কয়েক দফায় শীলা তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিয়েছিলো। তারপরও কেন এমন ঘটনা হলো। আমাদের ধারণা তার স্বামী আর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায্য বিচার চাই।

রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম রকিব জানান, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই নারীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের পর কিভাবে মৃত্যু হয়েছে জানা যাবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর