রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেছেন, “টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) মূল্য কথা হচ্ছে এমন উন্নয়ন সাধন করা যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে, সবাই যাতে সমান তালে এগিয়ে যায়। অর্থাৎ আমাদের সবার জীবনমানের সামগ্রিক পরিবর্তন করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে আমাদের প্রত্যেককেই দায়িত্বশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। এই সম্পর্ককে সম্পদে রূপান্তরিত করে গ্রামের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তবেই টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা সম্ভব। আর ইউনিয়ন পরিষদ এক্ষেত্রে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করবে বলে।”
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ‘ইউনিয়ন পরিষদ পরিকল্পনায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অন্তর্ভুক্তকরণ কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। জনগণের দায়িত্ব ভোট দেওয়া আর জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা। এর ফলে এসডিজি অভীষ্ট অর্জন করা সম্ভব হবে। জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার ভিক্তিতে রাষ্ট্রের মহান দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক শাহানা আখতার জাহান।
উল্লেখ্য, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার আয়োজনে কার্যকর ও জবাবদিহিতামূলক স্থানীয় সরকার প্রকল্প (ইউএলজি) সহযোগিতায় ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম