ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পরীক্ষার হলে খাতা না দেখানোয় সহপাঠীদের হাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পরীক্ষা চলাকালীন খাতা না দেখানোয় সুমন সেখ (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রকে তারই সহপাঠীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। মারধরের ১০দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২২ জুন) রাতে সুমন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে মারা যায়। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) মেধাবী ছাত্র সুমনের মরদেহ নিজ গ্রামে নিয়ে আসা হলে পরিবারসহ এলাকায় শোকার ছায়া নেমে আসে। মৃত সুমন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল গ্রামের সুলতান প্রামাণিকের ছেলে ও বেলতৈল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় পারদর্শী ছিল। 

সুমনের চাচা রজব আলী জানান, সুমন একজন মেধাবী ও ভদ্র ছেলে ছিল। গত ১২ জুন বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা চলাকালীন সময় তার সহপাঠী ২-৩ জন ছাত্র খাতা দেখতে চাইলে সুমন খাতা দেখাতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে পরীক্ষা শেষে বাইসাইকেলযোগে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে তার সহপাঠী রাকিব, রতন ও নাছিরসহ কয়েকজন সুমনের পথরোধ করে। পরে তারা  লাঠিসোটা দিয়ে সুমনকে বেধড়ক মারধর করে। পরে অন্যান্য সহপাঠীসহ স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গত ১৮ জুন সুমনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৬ দিন চিকিৎসার পর বুধবার রাতে সুমন মারা যায়। 

সুমনের সহপাঠী ও স্থানীয়রা জানান, সে অনেক মেধাবী ছাত্র ও ভদ্র ছেলে ছিল। দরিদ্র বাবা-মায়ের একমাত্র অবলম্বন ছিল। তার মৃত্যুতে সাথে একটি পরিবারের যেন মৃত্যু হলো।   শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, পরীক্ষার হলে খাতা না দেখানোর জন্য তার সহপাঠীরা তাকে মারপিট করেছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০দিন পর সুমনা বগুড়া হাসপাতালে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিজ বাড়িতে এনে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করেনি। তাদেরকে হত্যা মামলা দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মামলা হলেও আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর