ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পাকা রাস্তার অভাবে তিন গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
পাকা রাস্তার অভাবে তিন গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

টাঙ্গাইলে একটি রাস্তার অভাবে তিনটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। পূর্বে বংশাই নদী এবং পশ্চিমে মাইছা বিল ঘেরা উত্তর-দক্ষিণে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো তিনটি গ্রাম খুপিবাড়ি, লাহিড়বাড়ি ও ফসল। এই তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র আঙ্গারখোলা বাজার থেকে চাপড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

বংশাই নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার এই তিনটি গ্রামের মানুষের যেন দুঃখের সীমা নেই। এই তিনটি গ্রামের মানুষ বংশাই নদী দিয়ে নৌকায় চলাচল করতো। কিন্ত বংশাই নদী মরে যাওয়ায় এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাও যেন মরে গেছে।

বর্ষা মৌসুমে কোনোরকমে নৌকায় চলাচল করতে পারলেও শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের একমাত্র রাস্তা আঙ্গারখোলা বাজার থেকে চাপড়ি পর্যন্ত কাদামাটিতে একাকার। এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে কাউকে হাসপাতালে নিতে হলে রীতিমতো যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়। যাতায়াতে খারাপ অবস্থার কারণে অন্য এলাকার হাতুড়ে ডাক্তাররাও চিকিৎসা সেবা দিতে যেতে চান না এই এলাকায়। দৈনন্দিন বাজার-ঘাটও করতে পারে না এ এলাকার মানুষ।

এলাকাবাসীর দাবি, যত দ্রুত সম্ভব আঙ্গারখোলা বাজার থেকে চাপড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি যেন পাকা করা হয়।

খুপিবাড়ি গ্রামের সাবেক মেম্বার মোনায়েম খান বলেন, আমরা চিরদিন অবহেলিতই রয়ে গেলাম। আগে বংশাই নদী দিয়ে নৌকাযোগে যাতায়াত করতাম। এখন আর নদীতে নৌকা চলে না। ভোটের আগে সব নেতারাই আমাদের চলাচলের এই রাস্তাটি পাকা করার কথা বলে যান। কিন্তু ভোটের পরে তাদের আর পাওয়া যায় না।

সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম মিয়া এ বিষয়ে বলেন, একটি মাত্র রাস্তার অভাবে হাজার হাজার মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা বারবার লিখেও কোনো কাজ হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বলেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, দ্রুতই কাজ হবে।

ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম শাহাদৎ হোসনে বলেন, সংগ্রামপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের একমাত্র আঙ্গারখোলা বাজার থেকে চাপড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি দ্রুত করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। রাস্তাটি দ্রুতই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাস্তাটি বংশাই নদীর পাড় ঘেঁষে যাওয়ায় দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ রাস্তাটি করতে হলে আগে নদীর পাড় বাঁধতে হবে। তাই এটির জন্য বড় প্রকল্প দরকার। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে দ্রুতই রাস্তাটি হতে পারে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর