ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধে ভাঙন, দুর্ভোগে মানুষ
বরগুনা প্রতিনিধি

পূর্ণিমা তিথির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনার ৬টি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ চারদিন যাবত পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী শতশত পরিবারের রান্না করে খাবার অবস্থা না থাকায় তারা অর্ধাহারে রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক শত পানিবন্দী পরিবারের মধ্য বৃহস্পতিবার তালতলীর মাত্র ৭০টি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি ডাল, এক কেজি চিনি, এক প্যাকেট গুড়া দুধ ও সেমাই দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা যায়, এই মুহূর্তে তাদের কোনো বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও কোনো সহায়তা পাচ্ছে না পানিবন্দী পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিমাপ অনুযায়ী, শুক্রবার বিষখালী, বুড়ীশ্বর এবং বলেশ্বর নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জোয়ারের পানির চাপে ১২ জুলাই রাতে তালতলীর তেতুলবাড়িয়ার বুড়ীশ্বর নদীর ১৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে ৭টি গ্রামসহ ফসলি জমি তলিয়ে আছে। ধসে গেছে কাঁচা রাস্তা।

বরগুনা সদর উপজেলার ড্যামা, গুলিশাখালী, মাঝেরচর, কাঠাখালী, পাতাকাটা, খাজুরতলা আশ্রয়ণ, আবাসন, পোটকাখালী আবাসন, ডালাভাঙা, মোল্লার হোড়া, লতাকাটা, ছোনবুনিয়া, উরবুনিয়া, পালের বালিয়াতলী, গাজী মাহমুদ, সোনাতলা, গোড়াপদ্মা, গর্জনবুনিয়া, বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী, কেওয়াবুনিয়া, কালিকাবাড়ী, সরিষামুড়ী, বামনা উপজেলার দঃকাকচিড়া, আমতলী উপজেলার আমতলী লঞ্চঘাট, বাসুকী, লোচা, বালিয়াতলী, আঙ্গুল কাটা, গুলিশাখালী জেলাপাড়াসহ বেড়িবাঁধের বাইরের বসতবাড়ি জোয়ারের পানিতে চারদিন যাবত তলিয়ে আছে। জোয়ারের প্রভাবে পানি বৃদ্ধির চাপ আরও ২/৩ দিন একই অবস্থায় থাকবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর