ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বংশগতিবিদ্যার জনক মেন্ডেল’র ২০০ বছর
‘ক্ষুধামুক্ত পৃথিবীতে মেন্ডেলের অবদান অনস্বীকার্য’
শেকৃবি প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই আমাদের যে খাদ্য চাহিদা ছিল সেই চাহিদা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এখন। তবে সেসময় আবাদি জমির যে পরিমাণ ছিল তা বহুলাংশে এখন কমে গেছে এবং কমছেই। এরপরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের প্রথিতযশা প্রজননবিদদের কল্যাণেই আজকের এ অর্জন। একইভাবে গোটা বিশ^কে ক্ষুধামুক্ত করতে গ্রেগর জোহান মেন্ডেলের অবদান অনস্বীকার্য। 

বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বংশগতিবিদ্যার জনক গ্রেগর জোহান মেন্ডেলের দ্বিশত জন্মবাষিকী উপলক্ষে ‘মেন্ডেলবাদ: আধুনিক জীববিজ্ঞানের ভিত্তি’-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হক এসব কথা বলেন।

শেকৃবি, বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতি ও বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড আয়োজিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া। তিনি বলেন, মেন্ডেলের তত্ত্বের সঙ্গে পরে আরও তথ্য যুক্ত করেছেন অন্য বিজ্ঞানীরা। তিনি সত্য প্রকাশ করেছিলেন বাস্তবে ডিএনএ ও জিনের উপস্থিতির কথা না জেনেই। পরবর্তীতে সেসব আবিষ্কৃত হয়েছে। ক্রোমোজোমের স্বাধীন বিন্যাস কিভাবে জিনের পুনর্বিন্যাস ঘটিয়ে কোষের মধ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন। ডারউইনের বিবর্তনবাদের অমীমাংসিত বিষয়েও মীমাংসা মিলেছিল মেন্ডেলের গবেষণা আর তত্ত্বের মধ্য দিয়ে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শেকৃবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম ও সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. রাখহরি সরকার, শেকৃবির সাবেক উপাচার্য ড. মো. শাহ-ই-আলম ও বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতির সভাপতি ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধুরী।

বক্তারা আরও বলেন, মেন্ডেলের আবিষ্কৃত সত্যকে ধারণ করেই জেনেটিক্স বা বংশগতিবিদ্যার উন্মেষ। আধুনিক জীববিজ্ঞানের যাত্রা তার দেয়া সূত্র ধরেই হয়েছিল। মেন্ডেলের তত্ত্বের মূল ভাব অবলম্বন করেই চলেছে বাস্তব ক্ষেত্রে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ফসলের উন্নত জাত, পশুর ব্রিড ও মৎস্য জাত। তার তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই কৃষিতে ঘটেছে সবুজ বিপ্লব। কৃষিবিজ্ঞানের পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞানেও বংশগত রোগের কথা জানা সম্ভব হয়েছে তার তত্ত্ব ধরেই।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর