ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী
হাসপাতালে ঢুকে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা, তদন্ত কমিটি গঠন
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর চাটখিল সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি রোগীর কেবিনে ডাক্তার সেজে প্রবেশ করে ভর্তিকৃত এক রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে মঞ্জুরুল হায়দার জনি (৩৫) নামের এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে প্রবেশ করে ভর্তিকৃত রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে জনিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।

 এ ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে চাটখিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনি চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর এলাকার মৃত শাহাদাত উল্যার ছেলে। হাসপাতালের সামনে হায়দার ফার্মেসী নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই  হাসপাতালের ভর্তি হন ওই নারী।  বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তার কেবিনে প্রবেশ করে বখাটে অভিযুক্ত জনি। কেবিনে গিয়ে সে কৌশলে রোগীর স্বজনদের বের করে দেয়। পরে ওই রোগীর যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে রোগী চিৎকার করলে দ্রুত কেবিন থেকে পালিয়ে যায় জনি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের তদন্তে হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. তানজিনা হককে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শহীদুল আহমেদ নয়ন, ডা. ইকরাম বিন ফারুক ও নার্সিং সুপারভাইজার আয়েশা আক্তার।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর