ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মোরেলগঞ্জে স্কাউটস’র ‘করোনাযোদ্ধা সনদ’ নিয়ে বির্তকের ঝড়
মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ স্কাউটস বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে ‘করোনাযোদ্ধা সনদ’ বিতরণ নিয়ে ফেসবুকে নিন্দার ঝড় বইছে। স্কাউটসের ব্যানারে সনদ বিতরণ করা হলেও ওই সনদে স্কাউটসের কোনো কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেই। নেই স্কাউট লোগোও।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্কাউটিংয়ের সাথে কোনোদিন যার সম্পর্ক ছিল না, ছিল না কোন অরিন্টেশন, বেসিক কোর্স সনদ, দীক্ষা গ্রহণ; এমন ব্যাক্তিকেও সনদ দেওয়া হয়েছে ফটোসেশন করে।

ফলে, বিতর্কের মধ্যে পড়েছেন উপজেলা স্কাউটস সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। প্রশ্নের মুখে পড়েছেন উপজেলা স্কাউটস কমিশনার মো. আবু সালেহ ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাত কুমার মিস্ত্রীও। কাউকে খুশি করতে গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে সনদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। করোনাযোদ্ধা সনদ থেকে বাদ পড়েছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক, এনজিও, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সামাজিক সংগঠন, সংস্কৃতিককর্মী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৮ আগস্ট ৬০ স্কাউট লিডারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত করোনাযোদ্ধা সনদ বিতরণ করা হয়। বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশ স্কাউটসের সনদ। অথচ সনদে স্কাউট কর্মকর্তা হিসেবে কারও স্বাক্ষর নেই। নেই স্কাউট মনোগ্রামও।

এ ধরনের সনদ বিতরণের পর পরই নানা প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সম্মুখ সারিতে থাকা করোনাযোদ্ধারা। এ ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন সনদ বিতরণী কার্যক্রমের আয়োজক ও নীতি নির্ধারকরা। বির্তকিত এ সনদ বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজ ও স্থানীয়রা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘স্কাউটসের আয়োজনে শুধু স্কাউটিংয়ের সাথে জড়িত যারা তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে ৬০ জনকে এ সনদ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উঠেছে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

এ বিষয়ে উপজেলা স্কাউটস কমিশনার  মো. আবু সালেহ বলেন, ‘উপজেলা স্কাউটসের উদ্যোগে করোনাযোদ্ধা সনদ বিতরণে তালিকা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছুটা ত্রুটি হয়েছে। যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি’।

উপজেলা স্কাউটস্ কমিশনার ও সাধারণ সম্পাদক বিতরণকৃত ওই সনদে স্কাউটস’র মনোগ্রাম আছে বলে দাবি করলেও তা তারা প্রমাণ করতে পারেননি। সম্পাদক প্রভাত কুমার মিস্ত্রী এক পর্যায়ে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর