ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জোয়ারের পানিতে বরগুনা শহরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বরগুনা প্রতিনিধি
জোয়ারের পানিতে বরগুনা শহরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রবিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর জোয়ারের পানিতে বরগুনা পৌর শহরের নিচু রাস্তাঘাট তলিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা আমতলী, বেতাগী ও পাথরঘাটা পৌর শহরের।

বরগুনার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সকাল থেকে নিম্নাঞ্চলসহ বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থিত বসতঘর তলিয়ে যায়। অমানবিক জীবন কাটছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় কয়েকদিন যাবৎ রান্না না করতে পেরে তাদের শুকনা খাবার খেতে হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, প্রশাসন রিং বেড়িবাঁধ দেওয়ার কথা বললেও গুরুত্ব দিচ্ছে না। কেউ তাদের খোঁজ নিচ্ছেন না।

বরগুনায় আজ বিষখালী নদীতে বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটায় বিপদসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়। বরগুনার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা আবাসন, আশ্রয়ণ ও জাপানী ব্যারাকের প্রতিটি ঘরেই ৩-৪ ফুট পানিতে তলিয়ে আছে। বরগুনা শহরে বেড়িবাঁধের পাশে নদীর দুপাড়ে ৪ শতাধিক পরিবার ভাসছে জোয়ারের পানি আর বৃষ্টিতে।

পশ্চিম বরগুনার হোটেল ব্যবসায়ী আজমল বলেন, সব কিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের রান্না বন্ধ, রাতে জেগে থাকতে হয়।

খেজুরতলার আশ্রয়ণের বাসিন্দা নিজাম, গনি ও বাবুল জানান, প্রশাসন তাদের একটি রিং বেড়িবাঁধের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কয়েক বছর আগে। আজও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সত্যি এই সকল পরিবার মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বলেছি বেড়িবাঁধের বাইরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুত তাদের তালিকা করার। প্রথম পর্যায়ে আমরা তাদের চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর