ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এলইডি লাইট ও বেনটনিক মাটিসহ ট্রাক আটক
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

অবৈধভাবে পাচারের সময় এলইডি লাইট, বেনটনিক মাটিসহ ৬টি পণ্যের একটি ভারতীয় ট্রাক আটক করেছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ১১ সেপ্টেম্বর ট্রাকটি আটক করা হলেও ল্যান্ড পোর্ট কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মধ্যে দায় টানাটানির কারণে এখনো আইনি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অবৈধ এসব মালামাল নামিয়ে নিয়ে পাথরসহ ট্রাকটি এখনো আটক রাখা হয়েছে। 

কাস্টমস ও ল্যান্ডপোর্ট কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, মেসার্স ট্রেড ফেক্টরস নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে পাথর আমদানি করে। এই আমদানির ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এর দায়িত্ব নেয় মেসার্স খান এন্ড সন্স। খান এন্ড সন্সের মূল লাইসেন্সধারী এজেন্ট সুশান্ত দাস হিলি স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালন করলেও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে তার কাস্টমস সরকারের দায়িত্বে আছেন চন্দন দাস। 

চন্দন দাসের তত্ত্বাবধানে গত রবিবার বেলা ১১টায় ভারতীয় একটি ট্রাক পাথর নিয়ে স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। ওজনের সময় সন্দেহ হলে ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের একজন সিকিউরিটি গার্ড ট্রাকটিতে তল্লাশি চালান। এ সময় তিনি পাথরের ট্রাকের ভেতর ৩ বস্তা গম, ৪ বস্তা ভুট্টা, ৪ বস্তা বেনটনিক মাটি, পাইপ কাটার লোহা, এলইডি লাইট ৪টি এবং ট্রাকের ৩টি ব্যাটারি পান। পরে ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়।  

অভিযোগ উঠেছে অবৈধ পন্থায় আনা মালামালগুলো চন্দন দাস ভারত থেকে নিয়ে আসেন। তবে অবৈধভাবে এসব মালামাল আনার দায়িত্ব অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি জানান, ট্রাকের ড্রাইভার সুকুমার বর্মণ এবং আমদানিকারক ট্রেড ফেক্টরস ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসেন। এর দায় আমার নয়। খান এন্ড সন্সের মূল স্বত্বাধিকারী সুশান্ত দাস জানান, সিএনডএফ এজেন্ট এতো ছোট পেশা নয় যে, পাথরের ট্রাকে অবৈধভাবে ৩/৪ বস্তা গম বা ভুট্টা আনবে। তিনি ট্রাক চালককে দায়ী করেন। 

অন্যদিকে, ট্রেড ফেক্টরস’র ম্যানেজার সজিব বিন সাঈদ জানান, সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ এই অবৈধ মালামাল নিয়ে এসেছে। আমরা তাদের পাথর আমদানির জন্য ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিং এর দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা এখনো পাথর পাইনি। ট্রাকের ড্রাইভার সুকুমার বর্মণ জানান, পাথরের ট্রাকে কে বা কাহারা এসব মালামাল রেখেছে আমি জানিনা।  

বাংলাবান্ধা স্থল-শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুল হক ফিরোজ জানায়, যেহেতু বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট কর্তৃপক্ষ মালামালগুলো আটক করেছে তাই তাদের আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যদিকে বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, অবৈধ মালামাল আমরা কাস্টমসকে বুঝিয়ে দিয়েছি। আইনি ব্যবস্থা তারাই নেবেন। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর