ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

লাউয়াছড়ায় মারা যাওয়া ‘আফ্রিকান টিকওক’ গাছের নমুনা সংগ্রহ
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
লাউয়াছড়ায় মারা যাওয়া ‘আফ্রিকান টিকওক’ গাছের নমুনা সংগ্রহ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বিরল বৃক্ষ ‘আফ্রিকান টিকওক’ গাছটি মারা যাওয়ার কারণ জানতে গাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট। মঙ্গলবার বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা গাছটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এর নমুনা সংগ্রহ করেন।

গবেষক দলে ছিলেন-বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বনরক্ষণ বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা আব্দুল রাশেদ মোল্লা। দীর্ঘদিন ধরে গাছটির গোড়ায় পচন ধরে গত সপ্তাহে গাছটি মরে যায়। এই বিরল বৃক্ষটি লাউয়াছড়ায় আসা পর্যটক ও গবেষকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ ছিল।

বনরক্ষণ বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, কোনো রোগ, পোকা, মাইক্রোঅর্গানিজম বা মৃত্তিকাজনিত কোনো সমস্যায় গাছটি মারা যাওয়ার কারণ হতে পারে। আমরা গাছের গোড়ার মাটি, মাটির নিচের অংশের মরা শিকড়, কান্ডের উপরের অংশের মরা ছাল বাকল বিভিন্ন উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছি। এগুলো আমাদের প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে পরীক্ষাগারে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করব।

মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা আব্দুল রাশেদ মোল্লা বলেন, আফ্রিকান টিকওক আমাদের দেশের বিরল প্রজাতির একটি বৃক্ষ। গাছেরও জীবন রয়েছে। তার আয়ুর বিষয়ও রয়েছে। এমনও তো হতে পারে গাছটির আয়ু ফুরিয়ে গেছে। গাছটির নিচের খাবার সংগ্রেহের রুটগুলো পচে গেছে। নিচের অংশের মাটি খুঁড়ে তাই দেখতে পেলাম। এজন্য গাছটি খাবার সংগ্রহ করতে পারছে না।

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক রফিকুল হায়দার বলেন, আমরা গতবছর ও এবছরে এই গাছ থেকে স্যাম্পল নিয়ে এসেছিলাম। এগুলো আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। আমরা চেষ্টা করতেছি টিস্যু কালচার ও অন্যান্য মাধ্যমে গাছের বংশ বৃদ্ধি করার। যদি ১০টি চারাও তুলতে পারি তাহলে দেশে একটি বিদেশি গাছ হারিয়ে যাওয়ার তালিকা থেকে বেঁচে যাবে।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ ফরেস্টার আমাদের দেশে দুটি গাছ নিয়ে এসেছিল। দুইটির মধ্যে একটি গাছ বড় হয়ে মারা গিয়েছিল। বাকি একটি গাছও মারা গেলো।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর