ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জেলা পরিষদ নির্বাচন: রাজশাহীতে সদস্যপদে বিজয়ী হলেন যারা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি

রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাচনে নয়টি উপজেলায় সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের মধ্যে বাগমারায় সাধারণ সদস্য পদে আবু জাফর মাস্টারকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

বাগমারা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২৩৭। নির্বাচনে শতভাগ ভোট পড়েছে। এতে সাধারণ সদস্য পদে আবু জাফর মাস্টার টিউবওয়েল প্রতীকে ৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আবু জাফর মাস্টার গত নির্বাচনেও সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকে বাবুল হোসেন পেয়েছেন ৮০ ভোট। 

এছাড়া তালা প্রতীকে মাহমুদুর রহমান রেজা পেয়েছেন ৪৫ ভোট, বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে আব্দুর রশিদ পেয়েছেন ২৪ ভোট, অটোরিকশা প্রতীকে শিরিনা পারভীন পেয়েছেন তিন ভোট। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে একটি ভোট বাতিল হয়েছে।

পবায় ভোটার ১৭৪ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৭০ জন। পবায় সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তফিকুল ইসলাম। তিনি ৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

মোহনপুরে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আগেই বিজয়ী হয়েছেন দীলিপ কুমার তপন।

বাঘায় সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতা মহিদুল ইসলাম। তিনি ৭২ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি পেয়েছেন ৪৩ ভোট। বাঘায় ভোটার ১২০ জন।

দুর্গাপুরে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু। ৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহাদাৎ হোসেন পেয়েছেন ২৫ ভোট।

তানোরে সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তানোর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন। তিনি ৫৬টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোস্তফা ২৪টি ভোট পেয়েছেন। গোলাম মোস্তফা গতবারের জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য ছিলেন।

গোদাগাড়ীতে সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রশিদ। তিনি ৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদিউজ্জামান ভোট পেয়েছেন ৫৬টি।

চারঘাটে সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জনাব আলী। তিনি ৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল আলম রতন পেয়েছেন ৩০ ভোট।

পুঠিয়ায় সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আসাদুজ্জামান মাসুদ। টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৭। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলাম টিপু (তালা) প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৫ এবং মোহাম্মাদ মাইনুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতীক নিয়ে দুই ভোট পেয়েছেন।

সংরক্ষিত নারী সদস্য-১ (গোদাগাড়ী-তানোর-মোহনপুর) নির্বাচিত হয়েছেন শিউলি রানী সাহা। তিনি ৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কৃষ্ণা দেবী।

সংরক্ষিত নারী সদস্য-২ (মোহনপুর-বাগমারা-দুর্গাপুর) নির্বাচিত হয়েছেন সুলতানা পারভীন রিনা। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৩৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পারভীন বিবি পেয়েছেন ৮৫টি ভোট। 

সংরক্ষিত নারী সদস্য-৩ (চারঘাট-পুঠিয়া-বাঘা) নির্বাচিত হয়েছেন চারঘাট মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী সাজেদা।

উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। মীর ইকবাল কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৫৯৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান আকতার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। আখতারুজ্জামান আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ছিলেন।

জেলা পরিষদের নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য ৩১ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের জন্য ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর