ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ সরকার বানচাল করতে নানা অপকৌশল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। গণসমাবেশ সফল যাতে না হয় সেই জন্য সরকার পুলিশ দিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়িতে রাতে অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে মা-বোনদের সঙ্গে খারাপ আচরন করছে। এছাড়াও পরিবহন বন্ধ রাখার জন্য শ্রমিক নেতাদের ব্যবহার করছে।
বুধবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব অভিযোগ করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও গণসমাবেশের সমন্বয়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার অন্যান্য জেলায় যেভাবে সমাবেশ বানচাল করার অপকৌশ নিয়েছিল একই কায়দায় ফরিদপুরেও সেই কৌশল বেছে নিয়েছে। সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এরই অংশ হিসাবে ফরিদপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। যেখান থেকে মোট ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। নেতাদের বাড়িতে না পেয়ে তাদের বাবা-মা ও স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমরা গণসমাবেশ করার জন্য শহরের চারটি স্থানের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের সেই চারটি স্থানের কোনটির অনুমোদন দেননি। শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইন্সটিটিউটে করার জন্য অনুমতি দিয়েছে। তারপরও সেই সমাবেশ বানচাল করার জন্য নানা অপকৌশল করছে প্রশাসন। ইতোমধ্যেই ফরিদপুরে সকল ধরনের যানবাহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। সকল বাধা উপেক্ষা করে ফরিদপুরের গনসমাবেশ ইতিহাস হয়ে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জহিরুল হক, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, সাবেক এমপি ইয়াসমিন আরা হক, জেলা বিএনপি আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা ও সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া স্বপন।
বিডি-প্রতিদিন/এ এস টি