ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

‘দলের মহাসচিব রসিকে যাকে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন সেটা বৈধ হতে পারে না’
জিএম কাদেরের সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব চলছে না : রাঙ্গা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
বক্তব্য দিচ্ছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনের আশা করছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। 

তিনি বলেছেন, ‘জিএম কাদেরের সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব চলছে না । বরং উনি আমার সাথে দ্বন্দ্ব তৈরি করে আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। আমি এরশাদ সাহেব এবং জিএম কাদেরের সময় মহাসচিব ছিলাম। কাউন্সিলের মাধ্যমে আমি নবম সংসদের মহাসচিব হয়েছিলাম। উনি (জিএম কাদের) আমার প্রাথমিক সদস্য পদ পর্যন্ত বাতিল করে দিয়েছেন। অথচ এর কোনো কারণ জানাতে পারেননি। তবে আমি আশা করি, কোনো দ্বন্দ্ব থাকবে না, এক সময় এটা ঠিক হয়ে যাবে।’

আজ সোমবার বিকাল ৩টার দিকে রংপুর মহানগরীর দর্শনার পল্লী নিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

মসিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন, ‘এরশাদের মৃত্যুতে দুটি জাতীয় পার্টি গঠন হয়। একটি রওশন এরশাদের নেতৃত্বে আরেকটি জিএম কাদেরের। দুটোতেই আমাকে মহাসচিবের দায়িত্ব রাখা হয়েছিল। আমি দলটাকে না ভেঙে, টুকরো টুকরো না করে সবার সঙ্গে বসে মীমাংসা করে সমাধান করেছিলাম। আমি তখন কাউন্সিলের মাধ্যমে মহাসচিব হয়েছিলাম। সেই কারণে আমি মনে করি- এটা দেবর-ভাবির সম্পর্ক, এর থেকে বেশি অবনতি ঘটবে না। এখন যা চলছে এটাও থাকবে না। তারপর রংপুর সিটিতে একজন নতুন মেয়র প্রার্থী দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি ৩৮ বছর ধরে এই দলটি গড়েছি। আমার হাতে তৈরি অনেক নেতাকর্মী রয়েছে। অথচ আমাকে হঠাৎ করে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আমি হাসব না কাঁদব এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। এর জন্য আমি কাউকে দোষারোপও করছি না।’

তিনি বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেই প্রার্থী লাঙল প্রতীক পাবেন সেই মেয়র নির্বাচিত হবেন। জাতীয় পার্টি মানেই লাঙল। আর লাঙল যার কাছে থাকবে, সেই হবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। দলের মহাসচিব রংপুরে যাকে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন সেটা কোনো দিন বৈধ হতে পারে না। কারণ, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। মহাসচিব অযাচিত ভাবে মোস্তফাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। চেয়ারম্যান এখন আইনি সমস্যার কারণে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে পারছেন না। তবে এই সমস্যাও থাকবে না। দ্রুত সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে।’

এর আগে পল্লী নিবাসে শায়িত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। তখন তার সঙ্গে গঙ্গাচড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নুর আমিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খতিবার রহমানসহ রওশন-রাঙ্গাপন্থি শতাধিক কর্মী, সমর্থক ও পরিবহন শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

তার আগে সকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুরে যান মসিউর রহমান রাঙ্গা। সেখান থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা গঙ্গাচড়ায় গিয়ে ডিজিটাল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরে গঙ্গাচড়া থেকে তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে রংপুর মহানগরীতে শোডাউন করেন। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর