ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত বিদ্যালয়ের মাঠ
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

মাঘের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে আসে পাঠদান শিখতে। কিন্তু আজ শিক্ষার্থীদের কাঁধে কোনো স্কুল ব্যাগ নেই, নেই কোনো বই, খাতা ও কলম। সকলেই নানান সাজে নিজ অভিভাবকসহ বিদ্যালয়ে এসেছে পিঠা উৎসব করতে। পৌষের বিদায়ে আর মাঘের শুরুতে আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতির পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে পশ্চিম জয়পুরহাট শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বিদ্যালয়ের মাঠে নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, ইলিশ পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠাসহ আরও কত নাম! সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মঙ্গলবার ( ১৭ জানুয়ারি) সকালে পশ্চিম জয়পুরহাট শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠ প্রাঙ্গণে পিঠা পুলির উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের নিয়ে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। উৎসবকে সাফল্যমণ্ডিত করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, প্রধান শিক্ষক বেগম নেহার-ই জান্নাত, সহকারী প্রধান কৃষ্ণা রাণী কুন্ডু প্রমুখ।

শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে মাঘের হাড় কাঁপানো শীতের বাতাসে পিঠা পুলির সুবাস ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের অভিভাবকসহ সকলকে নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম নেহার- ই জান্নাত বলেন, পৌষ-পার্বণে পিঠা উৎসব হলেও শীতে এ উৎসের আমেজ শেষ হয়ে যায় না। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সংস্কৃতি চর্চা করতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাঙালি হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী। আর শীতের সময় পিঠা পুলির স্বাদ সবথেকে ভালো পাওয়া যায় গ্রামে। কিন্তু শহরে একটু হলেও ভিন্নতা রয়েছে। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলার সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিকশিত হতে পারছে। বিদ্যালয়ের উদ্যোগে চমৎকার আয়োজন দেখে ভালো লাগছে। ভবিষ্যৎ আমাদের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন আয়োজন বৃদ্ধি করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা      



এই পাতার আরো খবর