ড.আইউবুর রহমান স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামে বিনামূল্যে ছয় শতাধিক রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বসুন্ধরা আই হাসপাতাল এবং ঢাকাস্থ মান্দারপুর সমিতির যৌথ উদ্যোগে গ্রামে স্থাপিত মা আমেনা গফুর হাসপাতালে এই চক্ষুসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বী, প্রফেসর ফয়জুল ইসলাম, অপটোমেট্রিস্ট গাজী রিয়াজ রহমানসহ আটজনের একটি বিশেষজ্ঞ দল বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। এ সময় ঢাকাস্থ মান্দারপুর সমিতির উপদেষ্টা এম এ কাইয়ুম সরকার, মান্দারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য রোমানুল ফেরদৌসি, বাদৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিপন আহম্মেদ ভূইয়া, আরিফুল ইসলাম ভূইয়া সোহাগসহ গ্রামের গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের মানবসম্পদ বিভাগের সদস্য মো. আবু তৈয়ব জানান, ছয়শত রোগীর নাম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করা হয়। মঙ্গলবার তিনটা  নাগাদ প্রায়  ৬০ জন রোগীকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদের বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার (অপারেশন) করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। 

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা গনি মিয়া (৮০) নামে এক বৃদ্ধ  বলেন, আগে কৃষি কাজ করতাম। এখন বয়সের ভারে কিছু করতে পারি না। সারা শরীরে রোগে বাসা বেঁধেছে। প্রায় দুই মাস ধরে চোখে অনেক সমস্যা। দুই চোখ দিয়ে শুধু ঝাপসা দেখছি। বিনামূল্যে চিকিৎসার খবর পেয়ে এখানে এসে ফ্রি চিকিৎসা নিয়েছি। পরীক্ষা করার পর বলছে ছানি অপারেশন করাই দিব।

মান্দারপুর গ্রামের বৃদ্ধ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এক সময় টাকা পয়সা ছিল। এখন আমার অবস্থা খুবই শোচনীয়। আয় -রোজগার নাই। ৭-৮ বছর ধরে চোখে সমস্যা। পাঁচ মাস ধরে সমস্যা বেড়ে গেছে। এক চোখ তো অন্ধ আরেকটা চোখে ঝাপসা দেখি। গ্রামের লোকজনের মাধ্যমে শুনতে পাই বিনামূল্য চোখের চিকিৎসা করায়। অনেক উপকার পাব। 

বৃদ্ধা রাবিয়া খাতুন  বলেন, দুই ছেলে থাকলেও আমার দেখভাল করে না। গ্রামবাসীর সাহায্য সহযোগিতায় কোনোভাবে চলি। গতবার আমার চোখের চিকিৎসা করাইছি। এবারও আসছি ছানি অপারেশন করার জন্য। আমরা গরীব মানুষ চিকিৎসা করানোর এত টেহা তো আমাদের কাছে নাই।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল