ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে শুক্রবার হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হাফ ম্যরাথনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বয়সের ২৫০ জন দৌড়বিদ অংশ নেন।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার এবং ৫ কিলেমিটার ক্যাটাগরিতে হাফ ম্যারাথন দৌড় শুরু হয়। দৌড়বিদরা শহরের শিমরাইলকান্দি হয়ে শেখ হাসিনা সড়ক (সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক) দিয়ে বিজয়নগর উপজেলা ঘুরে আবারও শেখ হাসিনা সড়কের তিতাস সেতুতে ফিনিসিং পয়েন্টে ম্যারাথন শেষ করেন।
আয়োজকরা জানান, হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে রাশিয়া, জাপান, ভারত, নেপালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন বয়সী ২৫০ জন দৌড়বিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এসে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই।
সিলেট থেকে আসা দৌড়বিদ গোলাম রাহাত তোফায়েল জানান, তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।
পটুয়াখালী জেলা থেকে আসা দৌড়বিদ মশিউর রহমান পলাশ বলেন, আমি প্রথমবারের মতো ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। ম্যারাথনে অংশ নিয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। আগামীতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করব।
ফারজানা খানম নামে এক নারী দৌড়বিদ বলেন, জীবনের প্রথমবারের মতো আমি ৫কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নারীদের মধ্যে আমি প্রথম হয়েছি। শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখার জন্য প্রতিটা মানুষের দৌড়ানো উচিত।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল