ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ভাসমান বেডে মসলা ও সবজি চাষ
ফারুক আল শারাহ, লাকসাম প্রতিনিধি
কৃষক মাকছুদুর রহমানের ভাসমান বেডে মসলা ও সবজি চাষ পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম

কুমিল্লার লাকসামে ভাসমান বেডে মসলা ও সবজি চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। একজনের সাফল্যে অন্যরাও উৎসাহিত হয়ে ভাসমান বেডে মসলা ও সবজি চাষ শুরু করেছেন। তেমনি একজন সফল কৃষক লাকসাম পৌরসভার বাতাখালি গ্রামের মাকসুদুর রহমান।

প্রান্তিক পর্যায়ের আদর্শ এই কৃষক প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভাসমান বেডে লতা ও লতাবিহীন সবজি এবং মসলা চাষ করছেন। চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে তিনি লাউ, মিষ্টি, কুমড়া, মরিচ, আদা, লালশাক, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মসলার আবাদ করেছেন।

শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বপনকৃত আদা উত্তোলন করেছেন। পাঁচটি বেডের মধ্যে শুধুমাত্র একটি বেডে সীমিত পরিসরে এবার তিনি আদা চাষ করেন।

আদা উত্তোলনকালে তিনি দেখেন যে, আদার বাম্পার ফলন হয়েছে। একটি বেডে সামান্য অংশ থেকে তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ কেজি আদা উত্তোলন করেছেন। তার এই সাফল্য দেখে অন্যান্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

খবর পেয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আলী আহমদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল ওই কৃষকের বেড পরিদর্শন করেন।

কৃষক মাকসুদুর রহমান বলেন, দেশের মাটি সোনার চেয়েও খাটি। ভাসমান বেডে মসলা ও সবজি চাষ করে বাম্পার ফলন পাচ্ছি। মসলা ও সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে যে কারও ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে।

কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে থেকে কৃষক মাকসুদুর রহমান সার্বিক সহযোগিতা এবং কারিগরি পরামর্শ পাচ্ছেন। বর্ষায় গলাপানিতে জমিগুলো পতিত থাকে। কিন্তু এই কৃষক ভাসমান বেডে সবজি ও মশলা চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। তার সাফল্যে অন্যান্য কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। সারবিহীন হওয়ায় উৎপাদিত সবজি ও মশলা অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর