ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর র‍্যাবের জালে সাজাপ্রাপ্ত ৪ আসামি
অনলাইন ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ায় শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত চার আসামি হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার রণজিতপুর এলাকার মোসাদ্দেক আলীর ছেলে দেলবার (৭০), ফিরোজ (৬৫), ফিরোজের ছেলে সবুজ (৩০) এবং ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার সিরামপুর এলাকার রফিউদ্দিনের ছেলে হেলাল (৩৫)। 

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খাঁন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব-১২ জানায়,  ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রণজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক রবিউল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানা যায়। হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের শ্বশুর বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫,০০০/-টাকা জরিমানা করে রায় দেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে র‌্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৮ এর সহযোগিতায় র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়ার সদস্যরা ঢাকা, মাদারিপুর এবং কুষ্টিয়া থেকে ওই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার আসামি ফিরোজ এবং সবুজ হত্যাকাণ্ডের পর ঘর-বাড়ি এবং সম্পত্তি বিক্রি করে মাদারিপুর চলে যান। সেখানে তারা নিজেদের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে নতুন এনআইডি তৈরি করে বসবাস করছিলেন। দেলবারও নিজের জমি-জমা বিক্রি করে কুষ্টিয়ার পোড়াদহে বাড়ি তৈরি করে মধু চাষি হিসেবে জীবনযাপন করছিলেন। অপর আসামি হেলাল ঢাকার উত্তরায় টাইলস মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানায় র‌্যাব।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর