ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ওয়ানগালা উৎসবে মাতল নেত্রকোনা
অনলাইন ডেস্ক

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর একসাথে বসবাস। সবারই আছে নিজ নিজ সংস্কৃতি, নিজ নিজ আচার-অনুষ্ঠান। সেভাবেই গারো সম্প্রদায়ের নিজস্ব কৃষ্টি ওয়ানগালা উৎসব। আর এই উৎসব উপলক্ষে দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গারো সম্প্রদায়ের মানুষ বড়দিনের মতো সবাই এক হয়। একসাথে তারা সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। 

এই কৃতজ্ঞতা জানানোর সংস্কৃতি হলো গারোদের ওয়ানগালা উৎসব। শস্য দেবতাকে তুষ্ট করতেই বছরে একবার এমন আয়োজন করা হয়। 

এ আয়োজনে গারো সম্প্রদায় ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষেরও মেলবন্ধন ঘটে। প্রতিবারের মতো এবারও নেত্রকোনার দুর্গাপুর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আয়োজনে কালচারাল একাডেমিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ানগালা উৎসব।   গিলবার্ট চিচিম জানান, মিশিশালজং হাজং হচ্ছেন তাদের শস্য দেবতা। ফসল তুলে দেবতাকে তুষ্ট করতে এই আয়োজন করে গারো সম্প্রদায়। দিনে দিনে এই কৃষ্টি কালচার হারিয়ে যেতে বসলেও গত কয়েক বছর ধরে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই ওয়ানগালা উৎসবের আয়োজন করে আসছে। প্রতিবছর নভেম্বর ডিসেম্বরে হলেও এবার ফেব্রুয়ারিতে হয়েছে।   কালচারাল একাডেমির পরিচালক সুজন হাজং জানান, নানা কারণে এবার পিছিয়ে হলেও উৎসব ভালো হযেছে। এতে ১৫ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দল অংশ নেয়। সোমবার বিকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এই ওয়ানগালা উৎসবে অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু। গারোদের প্রধান বাদ্যযন্ত্র ড্রাম বাজিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার। 

এরপর ওয়ানগালা উৎসব নিয়ে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক জিয়া আহমেদ সুমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শেষে উৎসবে যোগ দেয়া নেত্রকোনা, ধৌবাউড়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১৫টি দল তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে নৃত্য পরিবেশন করে। নৃত্যের মাধ্যমে বিভিন্ন যুদ্ধ কৌশল সংগঠিতসহ নানা কিছু প্রদর্শন করা হয়।   লেখক বিপুর হাজং জানান, নতুন প্রজন্মকে নিজেদের সংস্কৃতি সর্ম্পকে ধারণা দিতেও এই উৎসবের ধারবাহিকতা চলে আসছে। দুর্গাপুরে সকল জাতি গোষ্ঠী একে অন্যের উৎসব উদযাপন করেন আনন্দের সাথেই। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর